সম্প্রতি ভ্যাট রিটার্ন ছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কোন ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে কোন গ্রাহক ঋণের জন্য আবেদন করলে তার অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে ভ্যাট রিটার্নের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে হবে।
জানা গেছে, ভ্যাট রিটার্ন যাচাই ছাড়া গ্রাহকদের ঋণ দিলে এর জন্য দায়ী থাকবেন সংশ্নিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার এনবিআরের ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা এবং তদন্ত অধিদফতর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে সব বাণিজ্যিক ব্যাংক যাতে এ নির্দেশ সঠিকভাবে মেনে চলে, সে ব্যাপারেও চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সরকারের কর ফাঁকি দেওয়া প্রতিরোধে এনবিআর এই উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে কোনও চিঠি পাঠায় নি।
জানা গেছে, বর্তমানে কোনও গ্রাহক ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করলে ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট নিবন্ধন সনদ, আর্থিক বিবরণী (অডিট রিপোর্ট), প্রজেক্ট প্রোপাইলসহ কমপক্ষে ৭/৮ ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে। এগুলো যাচাই করেই ঋণ অনুমোদন করা হয়। এনবিআরের এই নির্দেশনার কারণে নতুন করে ব্যাংকগুলোকে মাসিক ভ্যাট রিটার্নের তথ্য যাছাই-বাছাই করতে হবে।
এনবিআরের আইন অনুযায়ী, যোগ্য প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যেক মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এবং এই নির্দেশ কেউ অমান্য করলে তাকে জরিমানা গুনতে হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে