সম্প্রতি আসন্ন ঈদুল আযহার জন্য কোরবানির বাড়তি চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে গরু আনবে না বলে জানিয়েছে সরকার। বিগত বছর গুলোতে কোরবানির আগে সীমান্তে বিট খাটালের মাধ্যমে গরু কেনাবেচা হয়। কিন্তু চলতি বছর ঈদের আগে সীমান্তে ‘বিট খাটালের’ মাধ্যমে গরু আনার অনুমতি দেয়নি সরকার।
আজ সমবার শিল্প মন্ত্রণালয় অনলাইনে আয়োজিত চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় এই বৈঠকে এসব তথ্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আনসার ও সীমান্ত) মো. সাহেদ আলী। তিনি জানান, এ বছর দেশীয় খামারিরা যাতে গবাদিপশুর ভালো মূল্য পান, সেটা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তারা।
ওই বৈঠকে জানানো হয়, আগামী বুধবার কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হবে। কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ করতে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন উদ্যোগে মসজিদের ইমাম, মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী, চামড়া ছড়ানো এবং সংরক্ষণে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে কোরবানি দেওয়া এবং চামড়া সংরক্ষণে তথ্য মন্ত্রণালয় এবং লেদার বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও এই প্রচারণা কার্যক্রম চালাবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে