করোনার কারণে টানা প্রায় ছয় মাস অনির্ধারিত বন্ধে দেশের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে এ বছর আর ক্লাস হওয়ার খুব একটা সময় থাকছে না। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ওপরের শ্রেণিগুলোতে ওঠার জন্য মূল্যায়নের বিভিন্ন ধরনের বিকল্প চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে শিক্ষা প্রশাসন। আর তাই সিলেবাস কাটছাঁট করে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মূল্যায়নের বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। এবং নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, এই ছুটি আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
দেশের মাধ্যমিক এবং কলেজগুলো দেখাশুনা করে মাউশি। সংস্থাটির মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, মাধ্যমিকে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা এই পরিস্থিতিতে নেওয়া গেল না। আগামী সেপ্টেম্বরেও যদি স্কুল খুলে তখন হয়তো বাকি ৫০ শতাংশ সিলেবাসের ভিত্তিতে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী ক্লাসে মূল্যায়ন করা হতে পারে। তবে এগুলো নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।
এ ব্যাপারে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক জানান, এখন পর্যন্ত যতটুকু ক্লাস হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যতটুকু ক্লাস নেওয়া সম্ভব হবে তার ওপর নির্ভর করেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে ওপরের শ্রেণিগুলোর সাথে যেসব বিষয়ের সাদৃশ্য আছে কেবল সেগুলোর মাধ্যমেই মূল্যায়ন হতে পারে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে