বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিপ্রেশন কাটাতে খাদ্যতালিকায় রাখবেন যে পাঁচ খাবার

আমরা সবাই কমবেশি মনের অসুখে আক্রান্ত। কিন্তু হতাশা ও উদ্বেগ বাড়তে বাড়তে ভয়াবহ রূপ নিলে তখন তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ডিপ্রেশনে ভোগা ব্যক্তির যেমন কাউন্সেলিং ও ওষুধের প্রয়োজন, তেমনই সঠিক খাবার খাওয়াও অত্যন্ত জরুরি। কারণ কোন কোন খাবার মন ভালো করে, আবার কোন খাবার মন খারাপ করে দেয়। আর ডিপ্রেশন কাটাতে খাদ্যতালিকায় রাখুন নীচের পাঁচ খাবার।

আপেল: শরীরের জন্য আপেল ভীষণ স্বাস্থ্যকর। তেমনি মনের স্বাস্থ্যের জন্যও কিন্তু আপেল সমান উপকারী। ডিপ্রেশন কাটাতে প্রতিদিন একটা করে আপেল অবশ্যই খাবেন। আপেলের মাঝে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তা কোষের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় ও মনমেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

সবুজ শাকসবজি: সবুজ পাতাওয়ালা সবজি শরীরের সাথে মনের জন্যও অপরিহার্য। ক্যানসার ও আরও নানা অসুখ থেকে আমাদের রক্ষা করে সবুজ পাতাওয়ালা সবজি। পালং শাক, পুঁই শাক, লেটুস পাতা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলো মস্তিষ্কের কোষের উন্নতি ঘটায় ও ডিপ্রেশনে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

প্রোটিন জাতীয় খাবার: মন ভালো রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন খুবই জরুরি। টার্কি, টুনা, চিকেন, বিনস ও সয়াবিন রোজই খান। এগুলো আপনার মনকে সতেজ ও সতর্ক করে তুলবে এবং অবসাদগ্রস্ত অনুভূতিগুলোকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। খাদ্যতালিকায় রোজ প্রোটিন থাকলে অবসাদ গ্রাস করতে পারে না।

টমেটো: টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে আলফা লিপোলিক অ্যাসিড ও ফলিক অ্যাসিড আছে। অবসাদ কাটাতে এই দুটির ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে অবসাদে ভোগা মানুষদের এক তৃতীয়াংশের শরীরেই আলফালিপোলিক অ্যাসিড ও ফলিক অ্যাসিডের অভাব আছে। তাই প্রতিদিন টমেটো খেতে ভুলবেন না।

আরও পড়ুনঃ  অতি সহজে ডিমের খোসা ছাড়ানোর উপায়

আখরোট: আখরোটে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে তুলতে খুবই উপকারি। বিভিন্ন সময় দেখা যায় মস্তিষ্ক যথেষ্ট সজাগ না থাকলে ডিপ্রেশন আসতে পারে। মস্তিষ্কের ৮০ শতাংই লিপিড দিয়ে তৈরি। তাই আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মস্তিষ্কের জন্য খুবই ভালো।

অপরদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে হলে দুগ্ধজাত খাবার, চিনি, বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার, কফি মাঝে থাকা ক্যাফেইন বর্জন করতে হবে। পুরোপুরি এই খাবারগুলো ছাড়তে না পারলে সামান্য পরিমাণ খান। আপনি এগুলো কতটা খাবেন, তা ডাক্তারের সাথে কথা বলে ঠিক করুন। খাদ্যাভ্যাসের এই পরিবর্তনের মাধ্য দিয়ে আমরা ডিপ্রেশনের সাথে যুদ্ধটা চালিয়ে যেতে পারবো বলে আশা করা যায়।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন