শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাণীশংকৈলের পাকা সড়কে ধান কাটা-মাড়াই ও শুকানোর হিড়িক

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার মহাসড়ক সহ বিভিন্ন বাজার ও গ্রাম গঞ্জের ছোট বড় সড়কের উপর ধান কাটা মাড়াই, খড় শুকানো, সিদ্ধ ধান শুকানোর ধুম পড়ে গেছে। এমন চিত্র প্রতি বছরের ন্যায় এবাও চোখে পড়ে প্রতিদিন। এরই উপর দিয়ে চলাচল করে বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মোটরসাইক্যাল, রিক্সা-ভ্যান এবং ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন।

এসব চালকদের সর্বক্ষণ দুর্ঘটনার আতঙ্কের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। এসব পাকা সড়কে যানবাহন চলাচলে চরম অসুবিধা সৃষ্টি করে এবং দুর্ঘটনার যথেষ্ট আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও এই বেআইনি কাজ করছেন অনেকেই।

পাকা সড়কে ধান শুকাচ্ছেন এমন অনেক কৃষকেরা জানান, এই বোরো মৌসুমে বাড়ীতে কাঁচা মাটিতে ধান-খড় শুকাতে বেশি সময় লাগে। তাছাড়া বৃষ্টি বাদল, ঝড়ে ক্ষতিও হয়। তাই তারা অত্যন্ত নিরাপদ এবং দ্রুত শুকানোর স্বার্থেই পাকা সড়কে ধান এবং খড় শুকাচ্ছেন।

নিয়ম-কানুন তোয়াক্কা না করে সড়ক বন্ধ করে সড়কের উপর খড় শুকাচ্ছে স্থানীয় কৃষক-কৃষানীরা। পথচারিরা বলেন, সড়কগুলো দেখলে মনে হয় চলাচলের জন্য সড়ক নয় এ যেন ধান ও খড় শুকানো ব্যক্তিদের পৈত্রিক সম্পত্তি। ১৫ জুন সোমবার দেখা গেছে, রাণীশংকৈল উপজেলায় রাণীশংকৈল-নেকমরদ মহাসড়ক, ধর্মগড় সড়ক, কাতিহার সড়ক, বিরাশি হাট সড়ক, রাউতনগর, গাজিরহাট সড়কসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের সড়কগুলোতে রাস্তায় চলমান সকল যানবাহন দূর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে । এছাড়া যারা এই সব কাজ অসচেতনভাবে করছে তারাও দুর্ঘটনার ঝুকির বাইরে থাকছেনা।

আবার রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে অনেক স্থানে যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট্য কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে অনেকে মনে করেন।

আরও পড়ুনঃ  ২২ এপ্রিল থেকে মার্কেট খুলে দেওয়ার দাবি

এ ব্যাপারে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা বলেন, শীঘ্রই মাইকিং করাসহ এসব কার্যক্রম বন্ধের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন