মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। দশ মাস দশ দিন কষ্ট করে সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান একজন মা। কিন্তু সেই সন্তানই হাসপাতালে ফেলে রেখে গেল অসুস্থ মাকে। সম্প্রতি জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ফেলে যাওয়া মায়ের কোনো খোঁজই নেয়নি তার সন্তানরা।
ঐ মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম ওরফে মনিরা (৫০)। তার স্বামীর নাম শাহজাহান মিয়া। ময়মনসিংহ হালুয়াঘাট উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ঢাকার মিরপুর কমার্স কলেজের পাশে একটি বস্তিতে সালামের বাড়িতে পরিবারের সাথেই ভাড়া থাকেন ওই মা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ৭০২ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বেডে তিনি চিকিত্সাধীন অবস্থায় আছে। তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। গতকাল করোনার ওই ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, অসুস্থ ওই মা বুক ব্যথা এবং শ্বাস কষ্টে ছটফট করতে করতে বিছানা থেকে নিচে পড়ে যান। কিন্তু এই সময় তাকে দেখারও কেউ নেই তার কাছে।
এই ব্যাপারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ এএসআই আব্দুল খান জানান, ছেলে মোজাম্মেল সরকার এবং বাড়িওয়ালা সালাম তাকে গত ৩ জুন ঢাকা মেডিক্যালের নতুন ভবনের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তিন দিন ঝড়বৃষ্টিতে ভিজে পড়ে থাকার পর অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সহায়তায় গত ৬ জুন তাকে ঢাকা মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভর্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত তার পরিবারের কেউই তার খোঁজ নিচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, সন্তানদের জন্য মা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আর মাকে চিকিত্সা না দিয়ে ফেলে রেখে চলে যায় সন্তান। এ কেমন সন্তান ?
আনদবাজার/এইচ এস কে