ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্মপাশায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বসছে গরু-ছাগলের হাট

করোনাকালীন এই সংকটময় পরিস্থিতে নিরাপদ দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা ও হাটবাজার বসার জন্য সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সুনামগেঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর বাজারে গরু ছাগলের হাটে তা উপেক্ষিত হয়েছে। সেখান কোনোরকম তোয়াক্কা করা হয়নি। লকডাউন ঘোষণার পরও বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বারের মতো বসেছিল গরু ছাগলের হাট।

সকাল থেকেই এখানে নিয়ে আসা গরু ছাগলের পাশাপাশি মানুষজনদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গরু ছাগলের এই হাটে স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারণে এ ‍ উপজেলার মানুষজন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১২এপ্রিল ধর্মপাশা উপজেলাটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউন ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বারের মতো বসেছিল গরু ছাগলের হাট। এই হাটটি আশপাশের কয়েকটি জেলার মধ্যে বৃহত্তম। হাটের আগের দিন থেকেই বিভিন্ন উপজেলার মানুষজন ও গরু ছাগলের ব্যবসায়ীরা এই হাটে গরু ছাগল নিয়ে চলে আসেন।

এদিকে, আজ সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষজনদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে। হাজার হাজার মানুষজনদের উপস্থিতি ও গরু ছাগলের গাদাগাদির কারণে এই বাজারে তৈরি হয় এক বিচ্ছিরি পরিবেশ। করোনার সংক্রমণ রোধে বাজার কর্তৃপক্ষ বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থা।

ধর্মপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও দি রিলিজিয়াস ট্রাস্টের সেবায়েত এবং গরুর বাজার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দেবাশীষ চৌধুরী মিঠো বলেন, এই গরু ছাগলের হাটটি দি রিলিজিয়াস ট্রাস্টের নামে রয়েছে। আমি সহ আরও অনেকেই এই ট্রাস্টের সেবায়েতের দায়িত্ব পালন করছি। সকলের সহযোগিতা পেলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এই হাটে স্বাস্থ্য বিধি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপজেলাা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তালেব বলেন, যে কোনো হাটবাজারই ব্যক্তি বা কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে থাকার নিয়ম নেই। হাট বাজার বলতেই সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ধর্মপাশা সদর বাজারের গরুর হাটটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ আদালতে দেবোত্তর সম্পত্তির নাম দিয়ে রীট থাকার কারণে সেটি স্থানীয় একটি পক্ষ ভোগ দখলে রয়েছেন। এই হাটটি যাতে সরকারের নিয়ন্ত্র্রনে আনা যায় সে জন্য প্রয়োজনীয আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্ কাজ শুরু করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে এই গরুর হাট পরিচালনা করার জন্য হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিকে ডাকা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ রোধে যা যা করা দরকার তাই করতে হবে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কেউ যদি গরু ছাগলের হাট বসান তাহলে সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন