ঢাকা | বুধবার
২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাকাত সেঁজে জেলেদের মালামাল লুট করে নিল বনরক্ষীরা

ডাকাত সেঁজে জেলেদের মালামাল লুট করে নিয়েছে বনরক্ষীরা। গভীর সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দরবনের খালে আশ্রয় নেওয়া ট্রলারে হানা দিয়ে মাছ ও নগদ টাকাসহ ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। পরে মুক্তিপনের আরও দুই লাখ টাকা না পেয়ে ১৩ জেলেকে গভীর বনে বাঘ ও কুমিরের মুখে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তিনদিন বনের মধ্যে হিংস্র প্রাণীর মুখোমুখি হয়েও প্রাণ নিয়ে ফিরে আসা এসব জেলোরা মঙ্গলবার (৯ জুন) মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানান।

জেলে ও ট্রলার মালিক আব্দুর রশিদ লিখিত বক্তব্যে জানান, ৭ মে বনবিভাগের দুবলা ফরেস্ট থেকে বৈধ পাসপারমিট নিয়ে দু’টি ট্রলারে করে ১৩ জেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। আম্পানের কারেণ সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় দিকভুল করে সাগর সংলগ্ন সুন্দরবনের বেহালা কয়লা খালে আশ্রয় নেয় তারা। এদিন সন্ধ্যায় পশ্চিম সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান, বনরক্ষী রাসেল, কাওছার, আমজাদ ও বনবিভাগের বোটচালক আসাদসহ আরও ৩-৪ জন বনরক্ষী তাদের ট্রলারে উঠে মারধর করে মাছ-জাল ও তেলসহ ৪৫ হাজার নগদ টাকা লুটে নেয়। এছাড়া রাইফেল দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে জেলেদের ভয় দেখানো হয়। কেড়ে নেওয়া হয় তাদের সঙ্গে থাকা বনবিভাগের বৈধ পাস পারমিট। আর বনরক্ষীদের চাহিদার আরও ২ লাখ টাকা দিতে না পারায় ট্রলার আটকে রেখে ১৩ জেলেকে গভীর বনে বাঘ-কুমিরের মুখে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পশ্চিম সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান ‘আমি একটি অ্যাকশনে  আছি। পরে কথা বলবো’ বলেই ফোন কেটে দেন। এরপর একধিকবার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি তাকে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন