করোনা মহামারীতেও থেমে নেই ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ। মহামারীতে বিভিন্ন অফিস আদালতের স্বাভাবিক কাজ কর্মে কিছুটা ভাটা পড়লেও একদিনের জন্যও থেমে থাকেনি কৃষি বিভাগের কার্যক্রম। করোনা পরবর্তী খাদ্য সংকট যেন না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রির ঘোষণা “এক ইঞ্চি আবাদ যোগ্য জমিও যেন অনাবাদী না থাকে” সেটিকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি আম্পান ঝড়ের কারণে ঘটে যাওয়া ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিয়ে কৃষি যেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা নিয়মিতভাবে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকরা যেন তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পারে সে জন্য প্রতিদিনই কৃষি উৎপাদনের আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষক প্রশিক্ষণ, মাঠ দিবস সহ বিভিন্ন কর্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে কৃষকরা কৃষি উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে আউশ ধানের বীজ, শাক সবজির বীজ, চারা বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মুহ: মোফাকখারুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রির নির্দেশনার আলোকে করোনা পরবর্তীতে দেশে খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা করার লক্ষ্যে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যা যা করনীয় তার সব কিছুই করছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ। কৃষকরা যেন লভবান হতে পারে এ জন্য আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সর্ম্পকে প্রশিক্ষণ প্রদান, মাঠ দিবস আয়োজন এবং প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে তদুৃপরি আউশ ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে উপজেলার ১৭’শ ৬৫ জন কৃষককে প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে উন্নতজাতের ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। বীজ সহায়তার আওতায় প্রায় তিন শতাধিক কৃষককে বিনামূল্যে ধানের বীজ, বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি ও ফলের বীজ, চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/বি ইউ