দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময়ের সাধারণ ছুটি শেষে সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খুলতে শুরু করেছে দোকান-পাট, শপিংমলও। রবিবার (৩১ মে) থেকে খুলেছে অফিস। এতে করোনাভাইরাসের ভুতুরে পরিবেশ থেকে ধীরে ধীরে চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকাতেই। এরপরও জীবিকার তাগিতে কর্মস্থলে ছুটতে শুরু করেছে মানুষ। ঢাকায় প্রবেশের বিভিন্ন সড়ক, বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও লঞ্চঘাটে উপচে পড়ছে ঢাকা ফেরত মানুষের ভিড়।
রবিবার সকাল থেকেই মতিঝিল এলাকার অফিস পাড়ায় দেখা গেছে মানুষের ভিড়। এদিকে গাবতলী, ফার্মগেট, শাহবাগ ও মৎস্য ভবনের মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে দেখা গেছে কর্মজীবী মানুষের ভিড়। বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় দোকান ও ফুটপাতেও দোকান বসতে দেখা গেছে।
ডিএমপি পশ্চিম ট্রাফিক জোনের দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার বলেন, গণপরিবহন না চললেও গাবতলী, মাজার রোড ও মিরপুর এলাকায় সকালে লোক সমাগম হয়েছিল। সড়কে রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়িগুলোর চাপ ছিল বেশ। আগামীকাল থেকে গণপরিবহন চালু হলে রাস্তায় আরও বেশি ব্যস্ততা বাড়বে।
বসিলা, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় চোখে পড়েছে দু-একটি বাস। বাসের চালক ও সহযোগীরা জানান, তারা ট্রায়ালের জন্য রাস্তায় বাস নামিয়েছেন। এই এলাকাগুলোতেও বিকেলে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় ছিল।
রবিবার থেকে লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল শুরু হলেও দূর পাল্লা ও স্থানীয়ভাবে গণপরিবহন চলাচল শুরু হবে সোমবার থেকে। আর সেদিন থেকেই রাজধানী ঢাকা তার চিরচেনা রূপে ফিরবে বলেই মনে করছেন নগরবাসী।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস