নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দ্বিতীয়বার নমূনা সংগ্রহ ছাড়াই করোনাভাইরাসের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আক্রান্ত রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার কেন্দুয়া পৌর শহরের আরামবাগ মহল্লায়। এলাকার বাসিন্দা সত্যেন্দ্র চন্দ্র দাসের স্ত্রী কনা রানী পাল (৬০) এবং একই বাসায় বসবাসকারী প্রান্তোষ দাস (৫০) এর রিপোর্টের বেলায় এমন ঘটেছে।
এ বিষয়ে শনিবার (৩০মে) কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হাসিব আহসান বলেন, তাদের মোবাইল ফোনে যে ম্যাসেজ এসেছে হয়তো ভুলে এসেছে।
গত ২১ মে কেন্দুয়া পৌর শহরের আরামবাগ মহল্লার বাসিন্দা সত্যেন্দ্র চন্দ্র দাসের স্ত্রী কনা রানী পাল (৬০) ও একই বাসায় বসবাসকারী প্রান্তোষ দাস (৫০) এর প্রথম নমুনা সংগ্রহ করা হলে ২৩ মে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানানো হয়। এর পর নিজ বাসাতেই তারা আইসোলেশনে থাকেন।
এরপর নতুন করে আর তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তারপরও ২৭ মে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আরো একটি ম্যাসেজ আসে। ওই ম্যাসেজে জানানো হয় ২৪ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল আর তাদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ।
দুই বার দুই ধরনের রিপোর্ট নিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মাঝে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে সত্যেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলের বউ সুর্মী দাস জানায়, তার শ্বাশুড়িরসহ বাসার আারেক জনের ২১ মে স্যাম্পল নেয়া হলে ২৩ মে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে আর স্যাম্পল না নিয়েও জানানো হলো তাদের করোনা নেগেটিভ। বিষয়টি আসলে কী বুঝতে পারছি না।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এইচ কে