ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গুনিয়ার ৬০ হাজার পরিবার ত্রাণ পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

রাঙ্গুনিয়ার একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। প্রতিটি অসহায়, দরিদ্র ও খেটে খাওয়া কর্মহীন পরিবারের সদস্যরা খাদ্য পাবে এবং সবাই নিরাপদে থাকবে। ইতোমধ্যে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে রাঙ্গুনিয়ার ৬০ হাজারের বেশি পরিবার ত্রাণ পেয়েছে। আল্লাহর রহমতে রাঙ্গুনিয়ায় কোন হাহাকার নাই।

যতদিন করোনার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসবে ততদিন পর্যন্ত রাঙ্গুনিয়ায় দুস্থ অসহায় পরিবার গুলোর মাঝে আমার পক্ষ থেকে এ ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ হলে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া খেলোয়াড়দের মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দেশের প্রায় ৭ কোটি মানুষ নানাভাবে সরকারি সাহায্য-সহায়তার আওতায় এসেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। দেশের সমস্ত কওমি মাদ্রাসায় ঈদের আগে দু’দফায় টাকা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মসজিদে টাকা দেয়া হয়েছে। এইভাবে ত্রাণ তৎপরতা আশেপাশের কোনো দেশে হয়েছে কিনা আমার জানা নাই।

বাংলাদেশ খেটে খাওয়া মানুষের দেশ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি একটি খেটে খাওয়া মানুষের দেশ। এখানে কোটি কোটি মানুষ খেটে খায়। করোনাভাইরাসের কারণে আজকে দুই মাসের বেশি সমগ্র বাংলাদেশে প্রায় সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে। অনেকে অনেক শঙ্কা-আশঙ্কার কথা বলেছিলেন, সেই শঙ্কা-আশঙ্কাগুলোকে মিথ্যে প্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এমন বৃহত্তম ও সুপরিকল্পিত ত্রাণ কার্যক্রমের কারণে দেশের একজন মাসুষও আল্লাহর রহমতে অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি।’

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মাসের পর মাস বন্ধ রেখে কোনো দেশ টিকে থাকতে পারেনাি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মাসের পর মাস বন্ধ রেখে কোনো দেশ টিকে থাকতে পারেনা। সে কারণে উন্নত দেশ গুলোতেও আস্তে আস্তে নানা কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে, মানুষ কাজে ফিরে গেছে। আমাদেরকেও ধীরে ধীরে সেই কাজটি করতে হবে। তবে মাথায় রাখতে হবে সেই কাজটি করতে গিয়ে আমরা যেন আবার জনসমাগম না করি এবং শারিরীক দুরত্বটা বজায় রাখি। কর্মকান্ড শুরু হলেও আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন থেকে শারিরীক দুরত্ব বজায় রেখে কাজকর্মগুলো করতে হবে। নাহয় আমরা নিজেদেরকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে পারবোনা। মনে রাখতে হবে আমার সুরক্ষা আমার হাতে।’

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বণিক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আরজু সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন