বুধবার (২৭ মে) থেকে চট্টগ্রামের কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) এর আওতাধীন ২১টি কারখানা চালু করেছেন কর্তৃপক্ষ। তবে কেএসআই ২১ নাম্বার জ্যাকেট কারখানার সেলস ম্যানেজার মামুনুর রশীদের করোনা আক্রান্তের খবর শ্রমিকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
পারভীন নামের কেপিজেডের এক পোশাক শ্রমিক আনন্দবাজারকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। টাকার চাইতে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। সরকারের মন্ত্রী বলছেন, শ্রমিকদের সুরক্ষা যদি মালিকপক্ষ দিতে পারে তাহলে পোশাক শিল্প খোলা রাখতে কোনো অসুবিধা নেই। তাহলে আপনারা সাংবাদিকরা বলেন, এখন আমাদের করণীয় কি?
একদিকে করোনার সংক্রমণ থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য সারাদেশে চলছে লকডাউন। জনসমাগমসহ সকল সামাজিক কমকাণ্ড নিষিদ্ধ। এরই মধ্য দিয়ে কেইপিজেডএর জ্যাকেট ফ্যাক্টরিতে ম্যানেজার করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে এই ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কায় ভয়, ভীতি ও আতংক বিরাজ করছে। তাছাড়া বর্তমানে পরিবহনের সংকট চলছে। তাহলে ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার সময় এবং ছুটির পর পরিস্থিতি কেমন ভয়ানক হতে পারে? মালিকপক্ষ কয়জনকে সুরক্ষা দেবেন। এই শ্রমিকদের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ালে এর শেষ কোথায় জানা আছে কি?
এদিকে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গণপরিবহন বন্ধ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছুটি কাটাতে যাওয়া শ্রমিক ও কর্মচারীরা ফিরছেন কর্মস্থলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পোশাক শ্রমিক এ প্রতিবেদককে জানান, জ্যাকেটে কারখানার ম্যানেজার করোনা শনাক্ত এছাড়াও ১৬ নাম্বার কারখানায়ও করোনা উপসর্গ নিয়ে অনেক শ্রমিক ছুটিতে গেছে। সারদেশে যে অবস্থা চলছে এখন কোনো গার্মেন্টসে শিপম্যান্ট আছে বা যেতে পারে মনে হয় না। আমরাতো পোষাক শ্রমিক, আজকে এ দূর্যোগময় পরিস্থিতে মালিক পক্ষের কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেইপিজেডের সহকারী ব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. মুশফিকুর রহমান আনন্দবাজারকে বলেন, ২১ নাম্বার জ্যাকেট কারখানার ম্যানেজার করোনা আক্রান্ত। তাঁর করোনা পজেটিভ আসার পর তার সংস্পর্শে থাকা সকলকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছি। শ্রমিকদের জন্য আমাদের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। কারো উপসর্গ দেখা দিলে আমরা কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
আনন্দবাজার/শাহী