তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের পীরগাছায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসল। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আকস্মিকভাবে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়। এতে বাদাম, ভুট্টা ও পাটসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া সোমবার (২৫ মে) থেকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কয়েকটি গ্রামে শুরু হয়েছে ভাঙন।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার রাতেও কালবৈশাখী বৃষ্টি হয়েছে। এতে বৃষ্টির পানি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি এখনো অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার ছওলা ইউনিয়নের গাবুড়ার চর, চর ছাওলা ও শিবদেব চরসহ কয়েকটি গ্রামে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এছাড়া ছাওলা ইউনিয়নের আমিনপাড়া, কামারের হাট, রামসিং ও জুয়ানের চরসহ প্রায় ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চলের উঠতি ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এর ফলে চরাঞ্চলের ৫০ হেক্টর জমির বাদাম ও ভুট্টাসহ রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষকরা জানান, চরাঞ্চলের কৃষকরা ইতোমধ্যে বাদাম তোলা শুরু করেছিল। প্রায় শতাধিক কৃষক বাদাম তুলে চরেই শুকাতে দিয়েছিল। হঠাৎ রাতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উত্তোলনকৃত সব বাদাম ভেসে যায়। এতে নিস্ব হয়ে গেছেন অনেক কৃষক।
উপজেলার জুয়ানের চর গ্রামের আব্দুর রহমান জানান, গত রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। রাতের মধ্যে চরাঞ্চলের ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। চর ছাওলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাদাম, ভুট্টা ও পাটসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, পীরগাছার চরাঞ্চলে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এখন প্রায় ২০ হেক্টর জমির বাদাম পানিতে ডুবে গেছে। তবে পানি দ্রুত নেমে গেলে পাট ও ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস