ঝিনাইদহ স্বরণকালের ভয়াল (ঝড়) সুপার সাইক্লোন আম্পানের তান্ডবে জেলার অনেক এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে ঘর-বাড়ি গাছপালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি ঝড়ে গাছে চাপা পড়ে সদর উপজেলায় এক মহিলার মৃত্যুও হয়েছে।
এদিকে যাদের টিনের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদেরই বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঝড়ের তান্ডবে উড়ে গেছে ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল (ছাউনি)। আর এতে বাড়ছ ঢেউটিন বিক্রি।
বৃহস্পতিবার (২১ম) সারারাত আম্পানের তান্ডবের পর শহরের ঢেউটিনের দোকানগুলাতে দেখা গেছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
শহরের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ করে টিন বিক্রি বেশ বেড়ে গেছে। টিনের দোকানগুলাতে অন্য সময়ের চেয়ে বর্তমানে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঝড়ে তাদের ঘরের চালের টিন নষ্ট হওয়ায় সবগুলো মেরামতের জন্য শহরে ঢেউটিন কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। তবে অভিযোগ উঠছে এ সুযোগে বিক্রিতারা টিনের দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের মোঃ টিটু বলেন, তার একটি মুরগির খামার ছিলো। ঝড়ে খামার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এজন্য টিন কিনতে এসেছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে ঢেউ টিন কিনতে আসা সামছুল ইসলাম বলেন, এমন ঝড় আগে কখনও দেখিনি। আর এ ঝড়ে এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির টিনের চাল নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, তার টিনের চালার তিন কক্ষের একটি ঘর ছিল। ঝড়ে দুটি ঘরের টিন উড়ে গেছে। এমনটা এলাকার প্রায় লোকেরই হয়েছে। এ কারণে সবাই একযোগে টিন কিনতে এসেছি। তবে এ সুযোগে দোকানিরা আগের থেকে একটু বেশি দাম চাইছে।
অপর ব্যক্তি মুস্তাক মিয়া জানান, কালীগঞ্জ বাজারে তার একটি চায়ের দোকান ছিলো। ঝড়ে দোকানের টিন উড়ে গেছে। এজন্য টিন কিনতে এসেছি।
ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য সময়ের চেয়ে হঠাৎ এই ঝড়ের পরে টিনের চাহিদা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। অনেক কোম্পানীর টিন ফুরিয়ে গেছে। করোনার কারণে এর আগে তেমন বিক্রি ছিল না। ঝড়ের পরের দিন থেকে বেশ বিক্রি বেড়ে গেছে। তবে ঢেউটিনের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে এটা সঠিক না।
আনন্দবাজার/শাহী