শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবিকার জন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

মহামারি করোনাভাইরাস সহসা মানবসভ্যতাকে রেহাই দিচ্ছে না ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্বাভাসে জানানো হচ্ছে, করোনাভাইরাসের এই মহামারি সহসা দূর হবে না। কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকবে না। যতদিন না কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হচ্ছে, ততদিন করোনাভাইরাসকে সাথে করেই হয়তো আমাদের বাঁচতে হবে। জীবন-জীবিকার স্বার্থে চালু করতে হবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রোববার (২৪ মে) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাসের কারণে ঘোষিত লকডাউন বিশ্বের প্রায় সব দেশই ইতোমধ্যে শিথিল করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ অনির্দিষ্টকালের জন্য মানুষের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে তো নয়ই।

এদিকে, ‘রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বিশেষ তহবিল বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা কার্যকর করা হয়েছে। করোনায় যারা কাজে যোগ দিতে পারেননি, তারাও শতকরা ৬০ ভাগ বেতন পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে এ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা শুরু হয়েছে। দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার জন্য একদিকে মালিকদের আয় যেমন বন্ধ হয়েছে, তেমনি কর্মচারীরাও বিপাকে পড়েছেন। বেশিরভাগ দোকান মালিকের কর্মচারীদের বেতন দেয়ার সামর্থ্য নেই। ফলে তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’

শেখ হাসিনা জানান, আমরা ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি এবং অন্যান্য নিয়ম-কানুন মেনে কিছু কিছু দোকানপাট খুলে দেয়ার অনুমোদন দিয়েছি। যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন এবং যারা দোকানে কেনাকাটা করতে যাচ্ছেন, অবশ্যই আপনারা নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন। ভিড় এড়িয়ে চলবেন।

আরও পড়ুনঃ  চার বিদেশি এয়ারলাইন্স দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ‘আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। মনে রাখবেন আপনি সুরক্ষিত থাকলে আপনার পরিবার সুরক্ষিত থাকবে, প্রতিবেশী সুরক্ষিত থাকবে, দেশ সুরক্ষিত থাকবে।’

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন