লকডাউনে খেলতে গিয়ে এক লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণের বার খুঁজে পেল দুই শিশু। করোনাভাইরাসের থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে ফ্রান্সে। স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের বরাতে সংবাদটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনবিসি নিউজ।
স্বর্ণের বার দুটি খুঁজে পেয়েছে দুই ক্ষুদে আবিষ্কারক, যাদের দুজনের বয়সই ১০ বছর। গত মার্চে ফ্রান্সে যখন লকডাউন ঘোষণার পর তারা ছুটি কাটাতে ভেনডোম শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে দুই শিশু খেলার জন্য একটি কেল্লা নির্মাণ করা শুরু করে। উপকরণ বাড়ির অব্যবহৃত আসবাব আর হাতের কাছে যা পাওয়া যায়। তাই উপকরণের খোঁজে বাড়িময় অনুসন্ধান চলতে থাকে তাদের।
এই অনুসন্ধান করতে গিয়েই শিশুরা পুরনো চাদরে মোড়ানো দুটি স্বর্ণের বার খুঁজে পায়। এগুলো যে মহামূল্য তা বুঝতে পারেনি তারা দুজন। তাই তাদের কেল্লাতেই সাজিয়ে রেখেছিল বার দুটি।
কেল্লা দেখে খুশি হন বাসার সবাই। সেখানে বার দুটি দেখে শিশুদের বাবা প্রথমে বুঝতে পারেনি এগুলো স্বর্ণের বার। বার দুটি হাতে নিয়েই চোখ কপালে ওঠে তার। বুঝতে পারেন দুই দুটি স্বর্ণের বার এখন তার হাতে।
এরপর ওজন করে দেখতে পান এগুলোর প্রতিটির ওজন এক কেজি করে। তৎক্ষনাৎ যোগাযোগ করেন স্থানীয় নিলামকারিদের সঙ্গে। পরীক্ষার পর নিলামকারীরাও নিশ্চিত করেন আসলে দুটি বারই খাঁটি স্বর্ণের তৈরি। ভেনডোমের রুইলাক নিলামকারী সংস্থা বার দুটিকে নিলামে তুলবে আগামী ১৬ জুন। নিলামের প্রাথমিক দর হাঁকা হয়েছে এক লাখ ইউরো বা এক লাখ ৮ হাজার ৯৭৯ মার্কিন ডলার।
রুইলাকের মালিক ফিলিপ্পে রুইলাক বলেন, ১৯৬৭ সালে শিশুদুটির নানী/ দাদি স্বর্ণের বার দুটি কিনেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পড়েই তা হারিয়ে যায়, পরিবর্তীতে অনেক খুঁজেও এর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই নাতীদের হাতেই এতদিন পর আবিষ্কারের ঘটনা বেশ চমকপ্রদই বটে। তাই আসল মূল্যের চাইতে, নিলামে একটু বেশি দর পাওয়ার আশা করছি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস