করোনা মহামারিতে যখন দিশেহারা গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশেও এর ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। টানা লকডাউনে কর্মহীন মানুষের যেখানে পেটের ক্ষুধা নিবারণই কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে ঠিক অন্যদিকে মৌসুমী বৃষ্টি এবং সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু অঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও বন্যার পাশাপাশি ঝড়ের কবলে পড়ে গৃহহীন হয়েছে অনেকেই।
নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নে ঘূর্নিঝড় আম্পানে গাছ পরে নিজের শেষ আশ্রয়স্থল বাড়িটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিধবা এক নারী ৷ এ খবর শোনার সাথে সাথে সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ সোলাইমান রাব্বী।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ সোলায়মান রাব্বী জানান, “ভয়াবহ ঘূর্নিঝড় আম্পানের তীব্র প্রকোপে আমাদের এলাকার অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকের টিনের চাল উড়ে গেছে আবার গাছপালা পড়ে বাড়ি-ঘর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বেশিভাগেরই। এলাকা ঘুরে দেখে এসব ব্যাপারে আমার এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবহিত করেছি এবং নিজের সাধ্য অনুযায়ী পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ”
আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে বিধবা নারী অত্যান্ত আনন্দসহীত জানান, “কোনোরকম টানাটানির সংসার আমার ৷ করোনা পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক কিছু সাহায্য পেয়েছিলাম তা দিয়েই সংসার চলছিল৷ এর ভিতর ঝড়ে গাছ পরে আমার বাড়িটা ভেঙ্গে যায়৷ এ নিয়ে আমি চিন্তিত ছিলাম অনেক ৷ এ ব্যাপারটা জানার সাথে সাথে সোলায়মান আমার খোজঁ খবর নেয় এবং পরবর্তীতে আমার বাড়ির চাল ঠিক করতে কিছু টাকা দেয়৷ আমি তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি ৷”
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ সোলায়মান ইতোপূর্বেও চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দুস্থ মানুষদের আর্থিক অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করেন।
আনন্দবাজার/শাহী