ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট ও সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় দুটি চেকপোস্ট বসিয়ে ব্যক্তিগত যানবাহন প্রাইভেট কার মাইক্রোবাস সিএনজি মোটরসাইকেল চরে যে সব যাত্রী ঢাকায় প্রবেশের চেষ্টা করছেন এবং যারা ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বিভিন্ন জেলায় যাবার চেষ্টা করছেন সেসব গাড়ি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় প্রবেশের বা বাহির হওয়ার জন্য যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে এসব যানবাহন কে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম জানান, ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঢাকায় যাতে কোনো যানবাহন ব্যক্তিগত গাড়ি প্রাইভেট কারে করে কেউ ঢাকায় প্রবেশ বা ঢাকা থেকে বের হতে না পারে সেই বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া যেসব গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করছে তাদেরকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসাসহ যৌক্তিক কারণ যেসব যাত্রীরা দেখাতে পারছেন তাদেরকে ঢাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড শিমরাইল মোড় কাচপুর মদনপুর সহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক লোকের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদকে সামনে রেখে এসব যাত্রীরা ঢাকা থেকে বের হওয়ার জন্য বিভিন্ন যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
কিন্তু মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকার কারণে এসব যাত্রীরা ছোট ছোট যানবাহন মাইক্রোবাস প্রাইভেট কার সিএনজি রিকশা ভ্যান সহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে গ্রামের বাড়ি যাবার চেষ্টা করছেন। তবে মহাসড়কের পাশে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও পরিবহন না পেয়ে ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ঘাট, লাঙ্গলবন্দ, মদনপুর, কাঁচপুর, সাইনবোর্ড, শিমরাইলসহ নারায়ণগঞ্জ অংশে আটটি চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকার প্রবেশ ও বাহিরের বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। যাতে করে ঈদকে সামনে রেখে সরকারি নির্দেশনার বাইরে কোনো যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ ও বের হতে না পারে, সে বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে।
আনন্দবাজার/শাহী