ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শপিংমল-মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়, নেই সামাজিক দূরত্ব

করোনা পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে ঈদের কেনাকাটা। এতে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে বলে মনে করছে সচেতন মহল।

গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট ও শপিং মল সীমিত আকারে খোলার সরকারি অনুমতি থাকলেও করোনা ঝুঁকি বিবেচনা করে প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জের শপিংমল ও মার্কেট গুলো বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ পার না হতেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায় মার্কেট মালিক সমিতি।

শুক্রবার থেকে শপিংমল ও মার্কেট গুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন শপিংমল ও মার্কেট গুলো খোলার পর ক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সামাজিক দুরত্বের ব্যাপারটি তোয়াক্কা না করে অন্যান্য সময়ের মতোই ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি দোকানেই দেখা গেছে ক্রেতাদের ছোটখাটো জটলা।

তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল ও মার্কেট খোলার নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।ঢাকা শহরের বিভিন্ন শপিংমলের দোকানগুলোতে বৃত্ত এঁকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জের মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে তা করা হয়নি।

আহসানউল্লাহ্ সুপার মার্কেট, চাঁন সুপার মার্কেট ও কাসসাফ শপিং সেন্টার ঘুরে এসব ভয়ঙ্কর চিত্র দেখা গেছে। এসব মার্কেটে কেনাকাটা করতে সাধারণ মানুষগুলোকে এক কথায় গাঁ ঘেষেই চলাফেরা করতে দেখা যায়।

সিদ্ধিরগঞ্জের সোনামিয়া মার্কেটের একজন জুতার দোকানের কর্মচারী  সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,ক্রেতাদের সামাজিক দুরত্ব মানাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।তিনি বলেন, দোকানে আমরা দু’জনের বেশি প্রবেশ করতে দেই না।কিন্তু এ নিয়ম ক্রেতারা মানতে চায় না। ফলে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

চাঁন সুপার মার্কেটের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে আমরা বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখি। কম সময় মার্কেট খোলা থাকায় ক্রেতাদের ভিড় হয়। এজন্য সামাজিক দুরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, গত ২মাসে আমাদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা আগামী এক বছরেও পোষানো সম্ভব হবে না। এজন্য দোকান খুলতে বাধ্য হয়েছি।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ঘনবসতিপূর্ণ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অসংখ্য প্রাণহানী হয়েছে।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন