গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন আবুল হোসেনের তরুলতা নার্সারীতে সূর্য ডিমসহ ২৫টি প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। চলতি বছরে নার্সারীসহ গোটা উপজেলাতে আমের ভালো ফলন হয়েছে।
থাইল্যান্ডের সূর্য ডিম, বেনেনা ম্যাংগো, কিউ জাই, পাল মা, কিং চাকা পাত, ল্যাংড়া, কহিতুর, ইন্ডিয়ান চুষা, মহনভোগ, বাড়িপোর, আম রূপালী, ফজলি, বারো মাসি আমসহ প্রায় ২৫টি প্রজাতির আম গাছে ভালো ফলন হয়েছে আমের।
ছোট ছোট গাছে ঝুলছে আম। ছোট গাছে আমের ভালো ফলন দেখে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছে নার্সারিতে আমের চারা কিনতে। তরুলতা নার্সারিতে রয়েছে বিভিন্ন জাতের ফল ও ফুলের গাছ।
সরেজমিনে গিয়ে তরুলতা নার্সারির মালিক আবুল হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ৭০ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে নার্সারি শুরু করেছেন আরও ২০ বছর আগে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪ বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। প্রথমে নিজেই নার্সারির সব কাজ সম্পন্ন করতেন। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি শ্রমিক আনা শুরু করেন।
বর্তমানে আবুল হোসেনের নার্সারিতে ১০ জন শ্রমিক রয়েছে। তরুলতা নার্সারিটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে থাকায় প্রতিদিনই শত শত মানুষ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে ঘুরতে এসে আমসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। নিজের তৈরি জৈব ও সবুজ সার ব্যবহার করাতে যেমন আমের ভালো ফলন হয়েছে তেমনি অন্যান্য ফলদ গাছের ফলনও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব ও সবুজ সার ব্যবহারের কারণে তার নার্সারির আমসহ অন্যান্য ফল খেতে বেশ সুস্বাদু হয়।
গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, শ্রীপুরে ১ হাজার ৭ শত ৮৮ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ২৭ হাজার ৩শত ৫৬ টন।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এম এ