ঢাকা | শুক্রবার
৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনে রফতানি বন্ধ থাকায় লোকসানে কাঁকড়া চাষীরা

করোনাভাইরাসের কারণে চীনে বন্ধ রয়েছে সবধরনের আমদানি-রফতানি। ফলে রফতানি করতে না পারায় শুধুমাত্র বরগুনার পাথরঘাটার কাঁকড়া চাষীদেরই ২০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই এলাকার বেশিরভাগ কাঁকড়া চাষীই ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন। ফলে এখন ব্যবসা বন্ধ থাকলেও ব্যাংক এবং এনজিওর সুদ নিয়ে দুশ্চিন্তা তাদের।

কৃষকরা জানান, রফতানির আশায় কাঁকড়া চাষ করেছেন। তবে এখন চাহিদা না থাকায় লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা। গতবছর এ সময়ে এসব কাঁকড়া চীন, থাইল্যান্ড এবং তিউনিশিয়ায় রফতানি হয়েছিল। তবে এবছর এসব কাঁকড়া পানি থেকে এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

জানা যায়, গত বছর স্ত্রী কাঁকড়া দুই হাজার ৯৫০ টাকা ও পুরুষ কাঁকড়া এক হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। তবে বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ৩০০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকেও ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা কেজিও বিক্রি করা হয়েছে।

পাথরঘাটার একজন কাঁকড়ার আড়তদার বলেন, গত বছর চাষিদের কাছে ২৫০০ টাকা কেজিতে কিনেছি। সেই কাঁকড়া এখন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় পাইকাররা বলছে। বর্তমানে চীনে রপ্তানি না থাকায় চাষিদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।

পাথরঘাটা উপজেলা কাকড়া আড়তদার সমিতির সভাপতি ও কাঁকড়া চাষি উত্তম মজুমদার বলেন, সুন্দরবন এলাকা থেকে ২০ লাখ টাকার কাঁকড়া সংগ্রহ করে তিন মাস পরিচর্যা করে খরচ হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। অথচ এখন ৩০০ টাকা দরে মূল্য দাঁড়ায় শুন্যের কোটায়। তিনি বলেন, বর্তমানে কাঁকড়ার পেটে ডিম চলে এসেছে তাই বিক্রি না করলে সেগুলো মরে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, করোনা ভাইরাসের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বাজার খারাপ হওয়ার কারণে এর প্রভাব আমাদের দেশে পড়ছে। অতি শিগগিরই একটি সমাধান আসবে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন