ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনার হানা

মে মাসের শুরু থেকে কক্সবাজারে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। জেলায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একই অবস্থা রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া-টেকনাফেও। এর পরও এতদিন নিরাপদ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ৩৪টি ক্যাম্প।

এবার সেখানেও প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) শরণার্থী ক্যাম্পে দুইজন রোহিঙ্গার করোনা পরীক্ষার ফলাফল প্রজেটিভ আসে। তাঁরা দুইজনই ভিন্ন দুইটি ক্যাম্পের শরনার্থী বলে জানা গেছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে বৃহস্পতিবার (১৪ মে)১৮৬ জনের নমুনা পরিক্ষায় ১২ জনের করোনা রিপোর্ট প্রজেটিভ আসে। এদের মধ্যে দশজন কক্সবাজার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার অপর দুইজন রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা.মাহবুবুর রহমানের দেয়া তথ্যমতে, গত ৪৪ দিনে কক্সবাজার মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবে মোট ৩ হাজার ৩৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে মোট ১২৯ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিভাবে কাদের মাধ্যমে প্রাণঘাতি করোনা আগমন ঘটেছে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৈচৈ চলছে। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের ভিড়ে আক্রান্ত দুই রোহিঙ্গার সংস্পর্শে কারা এসেছে তাঁদের শনাক্তকরণ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।

এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি) এর হেলথ কডিনেটর ডা.তোহা ভুঁইয়া জানান, আক্রান্ত দুই রোহিঙ্গার সংস্পর্শ কারা বা কত সংখ্যক রোহিঙ্গা এসেছে তাঁদের সনাক্তকরণ কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৫০জনের অধিক রোহিঙ্গার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এই প্রথম দুইজনের রিপোর্ট প্রজেটিভ আসে। তাঁদের দুইজনকে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুুতকৃত পৃথক দুটি আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান, ডা.তোহা ভুঁইয়া।

উখিয়া উপজেলা অনির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের বিস্তারিত তথ্য পেতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তাই এত বড় ক্যাম্পে কোথায় কিভাবে লকডাউন করবো তা চিহৃত করা সম্ভব হয়নি। তবে আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ক্যাম্প থেকে।

জসীম উদ্দীন কক্সবাজার প্রতিনিধি,

সংবাদটি শেয়ার করুন