এক বছর পর ই-কমার্স, মার্কেটপ্লেস, লজিস্টিকে প্রায় পাঁচ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। করোনা সংকট সময়ে ই-কমার্সের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যেভাবে মানুষ জরুরী প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ই-কমার্সের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে তাতে এই খাতে জোরালো সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।
ওই সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন ই-ক্যাবের উপদেষ্টা নাহিম রাজ্জাক এমপি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম সহ আরও অনেকে।
নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন, অনলাইন ব্যবসার গতি ডিজিটাল পেমেন্টকে ত্বরান্বিত করবে এবং আমাদের আগামী দিনের ডিজিটাল অর্থনীতির চাকা আরো গতিশীল হয়ে উঠবে।
মো. জাফর উদ্দীন বলেন, করোনা সংকটের শুরু থেকেই ই-ক্যাবের ডাকে সাড়া দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়। এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নির্দেশনাকে গুরুত্ব দিয়েছে অন্যদিকে জনসাধারণ ও ডেলিভারি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে ধাপে ধাপে অনুমতি দিয়েছে। একসময় ব্যবসা খাত পুরোটাই ই-কমার্স নির্ভর হয়ে পড়বে।
শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ই-কমার্সের সম্ভাবনা আমাদের সামনে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। এখন আমরা যদি ক্রস বর্ডার ই-কমার্সকে সহযোগিতা করে আরো বিকশিত করতে পারি। দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এই খাত। যারা এখনো প্রচলিত পন্থায় ব্যবসা করেন তাদের ই-কমার্সে আসার সময় হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে অনেকে অনলাইন বিজনেস শুরু করেছেন।
আনন্দবাজার/টি এস পি