শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবাণুনাশক ব্লিচিং উৎপাদন করছে কর্ণফুলী পেপার মিলস

চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড মূলত কাগজ উৎপাদন করলেও ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে কারখানার শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা সহ সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে জীবণুনাশক ব্লিচিং উৎপাদন শুরু করেছে।

বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেপিএম এ উৎপাদিত এই জীবাণুনাশক ব্লিচিং উক্ত মিলের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সরবারহ করা হবে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসির) স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রাখতে এই কার্যক্রম গ্রহন করেছে উক্ত মিলটি।

কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেডের জি এম (এমটিএস) স্বপন কুমার সরকার জানান, করোনা পরিস্থিতিতে উক্ত মিলের সকলের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষে জীবাণুনাশক ব্লিচিং উৎপাদনের জন্য গত ১৫ এপ্রিল থেকে কারখানার ব্লিচিং উৎপাদনের প্লান্টটির সিভিল, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল রক্ষণাবেক্ষণ শুরু হয়। এবং গত ৩০ এপ্রিল হতে এক ব্যাচে এক টন ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইটের ব্লিচিং লিকার উৎপাদন শুরু হয়।

পূর্বে উক্ত প্লান্টের উৎপাদিত ব্লিচিং পাল্প সাদা করার জন্য ব্যবহার করা হলেও এখন শ্রমিক, কর্মচারী, যানবাহন সহ সব কিছু জীবাণুমুক্ত রাখতে এবং কারখানার পরিষ্কার পরিছন্নতার লক্ষে এই জীবাণুনাশক ব্যবহ্রত হচ্ছে।

কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ড. এমএমএ কাদের জানান, কর্ণফুলী পেপার মিলস বর্তমানে আমদানিকৃত পাল্প রিসাইকেল পেপার থেকে কাগজ উৎপাদন করছে। চলতি অর্থবছরের ৯ মে পর্যন্ত উক্ত কারখানা সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭৮৫ টন কাগজ উৎপাদন করা হয়েছে। উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরে ৭ থেকে ৮ হাজার টন কাগজ উৎপাদন করতে পারবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুনঃ  দুই তৃতীয়াংশ পোশাক কারখানায় পরিশোধ হয়নি এপ্রিলের বেতন

তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে এই করোনা পরিস্থিতিতেও কর্ণফুলী পেপার মিলস এর উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রাখতে এবং কারখানার প্রত্যেকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসির) নির্দেশে আমরা কাগজ উৎপাদনের পাশাপাশি জীবাণুনাশক ব্লিচিং উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছি।

ড. কাদের আরো জানান, স্থানীয়ভাবে কাগজের কাঁচামাল কাঠের সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিজস্ব বীজতলায় উৎপাদিত চারা রোপন এর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কেপিএম এর পাহাড়ী এলাকায় প্রায় তিন লাখের অধিক গাছের চারা রোপন করা হয়েছে এবং আগামী জুলাই থেকে আরো দেড় লক্ষ গাছের চারা রোপণ করা হবে বলে তিনি জানান।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন