করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বন্ধ হয়ে গেছে বিলাসবহুল নামীদামি ব্র্যান্ডের পোশাকের শোরুমগুলো। এতে বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকা বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জীবিকা।
চীনের পর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ। ইউরোপ এবং আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশের পোশাকখাত। বাংলাদেশের রাজস্বের ৮৩ শতাংশ আসে পোশাক থেকে। যেখান থেকে প্রতিবছর ৩২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে সরকার।
জানা যায়, বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় ২০ লাখ মানুষ কাজ করেন। যার মধ্যে নারী কর্মী বেশি। পোশাকখাত সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা প্রকোপের কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল করা হয়েছে।
জানা যায়, পোশাকখাতকে টিকিয়ে রাখতে ইতিমধ্যে ২ শতাংশ সুদে ৫৮৮ মিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এই প্রণোদনা দিয়ে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মাত্র একমাসের বেতন দেয়া সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক বলেন, ২০ লাখেরও বেশি শ্রমিক তাদের চাকরি হারাতে পারেন। কেউই এখন শার্ট এবং ট্রাউজার কিনতে চায় না। সবাই এই মহামারিতে খাবার এবং ওষুধ কেনায় বেশি জোর দিচ্ছেন।
আনন্দবাজার/ টি এস পি