ঢাকা | বুধবার
৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে পঙ্গপালের হানা!

মহামারির করোনার মধ্যেই দেশে পঙ্গপাল প্রজাতির অস্তিত্ব পেয়েছে কীট বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন, টেকনাফে এর উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে। এখনই যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে ভয়াবহ খাদ্য সংকটের শঙ্কা করছেন তারা।

পঙ্গপাল হচ্ছে ঘাষ ফড়িংয়ের সমগোত্রীয় প্রাণী। আচরণ পরিবর্তন করে দলবেঁধে একসাথে হয়ে ওঠে পঙ্গপাল। আক্রমণ করে মাঠের পর মাঠ ফসল উজাড় করে দেয় তারা। বলা বাহুল্য, ১০ লাখ পঙ্গপাল একদিনে ৩৫ হাজার মানুষের খাবার খেয়ে ফেলতে পারে।

কীটবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন জানান, টেকনাফের একটা ভিডিও পর্যালোচনা করে মনে হয়েছে ঘাস ফড়িংয়ের আচরণ পরিবর্তন করে তারা ধীরে ধীরে দলবদ্ধ হচ্ছে।

এদিকে জেলার কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শত শত পোকা দলবেঁধে গাছের পাতা খেয়ে ফেলেছে। তবে এটি পঙ্গপাল কিনা তা নিশ্চিত নয়।

উল্লেখ্য, মে মাসকে পঙ্গপালের বংশবিস্তারেরে উপযুক্ত সময় বলে বিবেচনা করা হয়। তাই খাদ্য সংকট মোকাবিলায় এখনই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ বিজ্ঞানীদের।

কীটবিজ্ঞানী সাখাওয়াত হোসেন আরো জানান, এখনই যদি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তবে তারা পরবর্তীতে পঙ্গপাল হয়ে যাবে। এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ভালো না হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন