মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক নগরীর সব হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে ব্যাপক খাদ্য সংকটে পড়েছে চট্রগ্রামে কর্মরত দুই তৃতীয়াংশ হোটেল রেস্টুরেন্ট কর্মী।
জানা যায়, গত ২৬ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে নগরীর ছোট বড় তারাকা মানের সব হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় উক্ত সেক্টরে কর্মরত অধিকাংশ কর্মী এক পর্যায় বাধ্য হয়ে কর্মহীন হয়ে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। এমনকি পবিত্র রমজান মাসে সেহেরি খেতে না পারায় উপোস রোজা রাখছে অধিকাংশ কর্মী।
নগরীর কিছু হোটেল রেস্টুরেন্টের মালিক রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার সময় স্টাফদের স্যালারী পরিশোধ করে। বাকী দুই তৃতীয়াংশ হোটেল রেস্টুরেন্টে স্যালারী তো দুরে, তাদের কর্মীরা কিভাবে আছে খবর ও নিচ্ছে না। সরকারী/বেসরকারি ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা সত্ত্বেও কোন প্রতিষ্ঠান হোটেল রেস্টুরেন্ট কর্মীদের একমুঠো চাল বিতরন করেনি।
পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে আনন্দবাজার প্রতিনিধি কথা বলে হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম মহানগর এর আহবায়ক ইমতিয়াজ মাহমুদ এর সাথে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে সামজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমাদের হোটেল রেস্টুরেন্ট কর্মীরা। তারা ঠিক মত খাদ্য যোগান করতে না পেরে পরিবার নিয়ে আত্নহত্যার পথ বেছে নিতে চাইছে কেউ।
তিনি আরো বলেন, তাদের সংগঠন খাদ্য সহযোগিতা চেয়ে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এর কাছে খোলা চিঠি দিয়েছে। মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রীর কাছে ও আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়া নগরীর বিত্তশালী হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিকদের ও আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি। এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে নিজেরা ফান্ড তৈরি করে অতিব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে এমন কর্মীদের খাদ্য সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
আনন্দবাজার/শাহী