শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমাতে ভাড়া মওকুফ, নিলামে ১২ কন্টেইনারের পণ্য

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হলে গত ২৬ মার্চ থেকে পরিবহন সংকট কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি কমে যায়। ফলে বন্দরে বাড়তে থাকে কন্টেইনার এবং জাহাজ জট।

চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে আটকে থাকা কন্টেইনার এবং জাহাজ জট কমাতে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ কর্তৃক আমদানিকৃত কন্টেইনারগুলোর ভাড়া আগামী ৪ মে পর্যন্ত মওকুফ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগ।

করোনা পরিস্থিতিতে সকল পণ্যে গত ২৭ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত স্টোর রেন্ট মওকুফ করেছিল বন্দর। ওই নির্দেশনা প্রত্যাহারের পর বন্দর বিজিএমইএ’র আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় দুটি প্রতিষ্ঠানের কন্টেইনারের স্টোর রেন্ট মওকুফ করল।

স্টোররেন্ট মওকুফ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিএমই’এর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্তৃক আমদানিকৃত কন্টেইনার সমুহ কেবলমাত্র ৪ মে’র মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ডেলিভারি গ্রহন করলে তার বিপরীতে আদায়যোগ্য বন্দরের স্টোররেন্ট সমুহ শতভাগ মওকুফযোগ্য হবে। বন্দরের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য চালান ডেলিভারি নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে বিজিএমইএ এবং বিকেএমই’এর আমদানি করা প্রায় ১৫-২০ হাজার কন্টেইনার রয়েছে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্টোররেন্ট ৪ মে পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছে। গত ২৭ মার্চ থেকে ৪ মে পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান দুটি এই সুবিধা পাবে।’

এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালাস না করায় ১২ কন্টেইনার আদা, রসুন ও পেঁয়াজ নিলামে তুলতে কাস্টম হাউসকে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনঃ  গ্রাহকের কাছে তিতাসের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা পাওনা

বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, ‘আমদানিকারক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্দর থেকে পণ্য খালাস না করায় ১ কন্টেইনার আদা, ২ কন্টেইনার রসুন ও ৯ কন্টেইনার পেঁয়াজ নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘পচনশীল পণ্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে রাখা হলেও নানান ঝামেলা পোহাতে হয়। অনেক সময় পণ্য পচেও যায়। আমদানিকারকদের বারবার তাগিদ দেয়া হলেও তারা পণ্য খালাস করেননি। এ কারণে তাই এসব পণ্য নিলামে তুলতে কাস্টম হাউসকে আরএল (রিমুভ লেটার) দেয়া হয়েছে।’

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন