বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় করোনা ভাইরাস ছড়ালেও এখনো ৪টি জেলা করোনা মুক্ত রয়েছে। তার মধ্যে একটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলা অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর একটি জায়গা। এই উপজেলা রয়েছে মহামারি করোনা মুক্ত। এই উপজেলার করোনা মুক্ত হওয়ার একটি কারণ আর তা হলো উপজেলা প্রশাসন কতৃক উপর্যুক্ত সময়ে সঠিক সিন্ধান্ত গ্রহন।
কাপ্তাই উপজেলাকে করোনা মুক্ত রাখতে প্রশাসনের যেই কয়জন কর্তাব্যক্তি অপরিসীম ভুমিকা রেখেছেন, তারা হলেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, কাপ্তাই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েত কাউছার এবং কাপ্তাই থানার ওসি নাসির উদ্দীন। এছাড়া এই সংকটকালীন মূহুর্তে কাপ্তাই সেনাবাহিনীর ২৩ বেঙ্গলের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, যিনি এই কাপ্তাই উপজেলার একজন অভিভাবক হিসেবে কাপ্তাইবাসীর কল্যাণে, কাপ্তাইকে করোনা ভাইরাস মুক্ত রাখতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছন। কাপ্তাইকে করোনামুক্ত রাখতে থেমে নেই তাঁর জনসেবামূলক কর্মকান্ড।
অপরদিকে আরেকজন কাপ্তাইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েত কাউছার, যিনি করোনা মোকাবেলায় কাপ্তাই তথা তাঁর অধীনে এলাকাগুলোর নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, যাতে বহিরাগত কেউ কাপ্তাইয়ে প্রবেশ করতে না পারে। আবার হতদরিদ্র পরিবারকে সহায়তা প্রদানে করছেন তাঁর উদ্যোগে।
করোনা সংক্রমনরোধে কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন এর ভূমিকাও প্রশংসনীয়। কাপ্তাইের পুলিশিং কার্যক্রমকে ব্যাপক ভাবে জোরদার করেছেন তিনি। ৩ টি চেকপোস্ট বসিয়ে বাহিরের লোক যাতে কাপ্তাইয়ে প্রবেশ করতে না পারে, সেইজন্য পুলিশ বাহিনীকে সবসময় সর্তক অবস্থানে রেখেছেন।
সর্বোপরি কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল এর সমন্বয়ে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, জনপ্রতিনিধি, আনসার, বিজিবি, তথ্য অফিস,কাপ্তাই প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কাপ্তাই উপজেলাকে করোনা মুক্ত রাখতে সমন্বিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আনন্দবাজার/শাহী