শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টিতে পচে যাচ্ছে সবজি

কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কারণে ক্ষতির ক্ষতির মুখে পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের মিষ্টি কুমড়া ও শসা চাষিরা। টানা বৃষ্টিতে মিষ্টি কুমড়ায় পচন ধরছে এবং শসা গাছের গোড়ায় পানি জমে পচে যাচ্ছে। অন্যদিকে করোনার ফলে সবজি বিক্রি করতে না পাড়ায় জমিতেই পচছে ফসল।

ক্ষতির মুখে পড়া ঠাকুরগাঁও সদরের রশিদুল ইসলাম জানান, আমি তিন বিঘায় মিষ্টি কুমড়া লাগাইছি। প্রচুর ফলন হয়েছে কিন্তু ফলগুলো টিকতেছে না পানির জন্য। পঁচে যাচ্ছে। আমাদের খেতে প্রায় এক হাঁটু সমান পানি। মনে হয় বর্ষাকাল।

তিনি আরও জানান , আমার প্রায় ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। ১২ হাজার টাকার বেশি খরচ করে এক কেজি মিষ্টি কুমড়ার বিচি কিনতে হইছে। অনেক টাকা লস হবে। করোনার কারণের এখন বিক্রিও করতে পারছি না।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনার কারণে অনেকেই টমেটো বাজারজাত করতে পারছে না। এতে খেতেই নষ্ট হচ্ছে। শসা খেতে মাত্র ফসল আসা শুরু করেছে। কিন্তু টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে শসা খেতে পানি জমে আছে। বর্ষার জন্যে গাছ তো টিকছে না।

শসা চাষ করে বর্ষায় ক্ষতির মুখে পড়তে যাওয়া আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ‘আমাদের শসা খেত একদম বৃষ্টিতে ডুবে গেছে। গাছের গোড়া ডুবে গেলে মারা যায়। এগুলো এখন আর হবে না। আস্তে আস্তে গাছগুলো সব লাল হয়ে যাচ্ছে। আমরা পানি সরানোর চেষ্টা করছি। আবার যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে বাঁচানো যাবে না।

আরও পড়ুনঃ  বিষাক্ত পানিতে ভরছে তুরাগ

তিনি বলেন, সাধারণত বৈশাখে তো এত বৃষ্টি হয় না, দুই থেকে তিনবার হয়। এবার প্রায় বন্যা হয়ে গেছে। প্রায় ৬-৭ দিন ধরে প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে।’

অন্যদিকে করোনার কারণে বিক্রি করতে না পেরে ক্ষেতেই টমেটো নষ্ট হয়েছে অনেকের। এ বিষয়ে এক কৃষক বলেন,টমেটোর জাঙ্গলা ফালাই দিছি। টমেটো বিক্রিই করতে পারি নাই। দামই তো নাই। টমেটো তো কেউ কিনেই না। বাজার নাই, হাট নাই, কিছুই নাই। কেউ যে দাম বলবে, তাও তো বলে না।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন