ঢাকা | রবিবার
২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় তরমুজের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা

ভোলায় তরমুজের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি তরমুজ চাষিরা। কেউ কেউ তরমুজ বিক্রি করছেন ক্ষেত থেকেই। আবার কেউ কেউ বিক্রি করছেন পাইকারি বাজারে। তরমুজ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে ৮৫ ভাগ তরমুজ।

চাষীরা জানান, বিগত বছরে তরমুজ চাষে আর্থিকভাবে লোকসান হলেও এবার লাভের মুখ দেখছেন তারা। এ বছর ক্ষেতে ফলনে বিপর্যয় নেই। করোনা ভাইরাসের কারণে বাজার দাম বা পরিবহন নিয়ে কিছুটা চিন্তিত থাকলেও তার কোন প্রভাব পড়েনি তরমুজের বাজারে। ফলে সন্তুষ্ট চাষিরা।

ভোলা সদরের ভেদুমিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জমিতে চাষ হয়েছে তরমুজ। এ এলাকায় ধান ও তরমুজ চাষ হয়। তবে চাষীদের তরমুজ চাষের আগ্রহ অনেক বেশি।

ভেলুমিয়া এলাকায় তরমুজ চাষি মুমিন বলেন, তরমুজের ফলন অনেক ভালো। তরমুজ বাজারে করোনার প্রভাব পড়েনি। আমরা মোটামুটি দাম ভালো পাচ্ছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এ বছর তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর। তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৭২২ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলায়। ওই উপজেলায় ৬৮৯০ হেক্টর জমিনে তরমুজের আবাদ হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হরলাল মধু জানান, তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে, করোনার প্রভাব নিয়ে কিছুটা চিন্তিত থাকলেও এখন সেই সমস্যা নেই। তাছাড়া বাজার দামও সন্তোষজনক। জেলার তরমুজ বরিশাল, ঢাকা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম যাচ্ছে।

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন