গোটা বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে। ভাইরাসটির ছোবলে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ লাখ ৯২ হাজারেরও বেশি মানুষ। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে ২৭ লাখেরও বেশি।
এই দুর্যোগে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি বিশ্ব অর্থনীতি। এই মহামারী পরবর্তী কিছু ব্যবসা হয়তো আর কখনোই পুনরায় চালু হবে না। সম্প্রতি এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ‘গ্লোবাল ডিজাস্টার রিকভারি গ্রুপ (ডিআরআই)’।
সংস্থাটি বিভিন্ন সংকট পরবর্তী সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় সচল রাখতে সহযোগিতা করে থাকে। সংস্থাটির মতে, করোনা পরবর্তী সময়ে যখন অর্থনীতির চাকা পুনরায় চালু হবে। তখন অনেক ব্যবসা-বাণিজ্যই আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না। এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। করোনা সংকটে তাদের টিকে থাকতে আবারও ফিরে যেতে হবে সেই নতুন উদ্যোক্তার পথে। কেননা ব্যবসা একবার বন্ধ হওয়া থেকে পুরনায় তা শুরু করা খুবই কঠিন বলে মনে করে ডিআরআই।
গ্লোবাল ডিজাস্টার রিকভারি গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ ক্লো ডেম্রোভস্কি বলেছেন, করোনা পরবর্তীতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একেবারের নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে। আগে যে পরিস্থিতি ছিল- তার কিছুই থাকবে না। অর্থনৈতিক সামর্থ্য পুরোপুরি বদলে যাবে।
তিনি বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে করোনার লকডাউন পরবর্তী সময়ের সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি দেশ তথা সারা বিশ্বে যারা ব্যবসা-বাণিজ্যে সময়োপযোগী সৃজনশীলতা রাখে না, তাদের সবচেয়ে বেশি প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে। তাদের করোনা পরবর্তী সময়ে নিশ্চিতভাবে হতে হবে দুরূহ পরিস্থিতির শিকার। কিন্তু যাদের ব্যবসায় ঝুঁকি এড়ানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থাপনা এবং চিন্তাধারা রয়েছে তাদের এসময় ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।
ক্লো ডেম্রোভস্কি মনে করেন, করোনা সৃষ্ট সংকট পরবর্তী সমেয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে দুঃসময়ের মুখোমুখি হতে হবে। অনেকেই পুনরায় চালু করতে পারবে না ব্যাবসা। বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে । এদিকে ডিআরআই এর বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংকট মোকাবেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় কোম্পানিগুলোকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কাজের সময় ও দায়িত্ব পালনে আনতে হবে সময়োপযোগী পরিবর্তন এবং খাপ-খাইয়ে নিতে হবে সংকট পরবর্তী পরিস্থিতিতে।
সূত্র : বিবিসি।
আনন্দবাজার/শাহী