ঢাকা | মঙ্গলবার
২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধামরাইয়ে ভেকু দিয়ে ফলন্ত ধানের জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ

ঢাকার ধামরাইয়ে রোয়াইল ইউনিয়নে গোপালপুর রোয়াইল গ্রামের সংযোগ সড়ক পূণরায় নির্মানে রাস্তার দু’পাশের ধানের জমি কেটে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে রোয়াইল ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরোদ্ধে। রোয়াইল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নেপাল সরকার করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে রাস্তার উপর দিয়ে আবারও রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রোয়াইল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কোন প্রকার সরকারি অনুদান না পেয়েও পুরাতন রাস্তার উপর আবারও মাটি ফেলছে। কারও কোন প্রকার কথার তোয়াক্কা না করে রাস্তার পাশের ধানের জমি ভেকু দিয়ে কেটে রাস্তায় মাটি নিচ্ছে। এতে রাস্তার পাশে প্রায় ৫০ জন কৃষকের জমির অনেকাংশই কেটে তিনি রাস্তার নামে মাটি নিচ্ছে। এতে তিনি কারো কথা শুনছেন না।

এক দিকে চলছে করোনার আতঙ্ক, অপরদিকে নেপাল মেম্বার চুপিসারে ধানের জমি কেটে মাটি নিচ্ছে রাস্তায়। করোনা ভাইরাস যতদিন থাকবে ততদিন সরকারি সকল প্রকার কাজ বন্ধ থাকার কথা। অথচ তিনি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এর জন্য কোন প্রকার সরকারি অনুদান নেই। সারাদেশ ব্যাপি করোনার আতঙ্ক থাকলেও, কোন প্রকার আতঙ্ক নেই এই ইউপি সদস্য নেপাল সরকারের মনে।

রোয়াইল ইউনিয়নের একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বেশিরভাগ জমির মালিকের অনুমতি না নিয়েই তিনি রাস্তার পাশ থেকে ধানের জমি কেটে রাস্তা তৈরির নামে মাটি কেটে নিচ্ছে। যখন সারা দেশ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দিন কাটছে, তখন নেপাল মেম্বার তার ইচ্ছে মতো ফলন্ত ধানসহ জমির মাটি কেটে রাস্তায় নিচ্ছে। কি কারণে তৈরি করা রাস্তার উপর আবার মাটি ফেলছে, এ ব্যাপারটা শুধু তিনি নিজেই জানেন। আমরা এর কিছুই জানি না। আর কিছুদিন পর জমির ধান পাকা শুরু করবে। এর আগেই নেপাল মেম্বার আমাদের জমির একাংশ কেটে রাস্তা তৈরি করছে। এখন এই রাস্তা তৈরির কোন দরকারই নেই। রাস্তা তৈরির নামে ধানের জমি প্রায় ৫ ফুট নিচু করে ধানসহ মাটি কেটে নিচ্ছে এই ইউপি মেম্বার। এর ফলে আমাদের জমির মাটি কাটা অংশ ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এ বিষয়ে রোয়াইল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার নেপাল সরকার বলেন, আমি এক জন জনপ্রতিনিধি। আমি রাস্তা তৈরির জন্য মাটি কেটে নিচ্ছি। এতে মানুষের উপকারের জন্যই রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। কারণ বর্ষা মৌসুমে বিলে পানি আসলে পানিতে রাস্তা ডুবে যায়। তাই রাস্তা উচু করার জন্যই আবার নতুন করে পাশের জমি থেকে মাটি কেটে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। আমরা যে কোন সময়ে কাজ করতে পারি। করোনার কারণে কি সব কাজ বন্ধ থাকবে!

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:সামিউল হক বলেন, এই করোনা সময়ে একজন ওয়ার্ড মেম্বার কি করে জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করতে পারে। আমি রোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি, কাজ বন্ধ রাখা হবে।

তবে এ বিষয়ে রোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম শামসুদ্দিন মিন্টু বলেন, এখন আর রাস্তা নিয়ে না ভেবে পারলে আমার ইউনিয়নে অসহায়দের ত্রাণের ব্যবস্থা করে দেন। চেয়ারম্যান আবুল কালাম বিষয়টা পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন