ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতালের যাত্রা শুরু

চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের জন্য নির্মিত দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল যাত্রা শুরু করেছে।

আজ মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে রোগী দেখার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে এই ফিল্ড হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে নিজের দায়িত্ববোধ থেকে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রামের সন্তান ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া চট্টগ্রামে একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেন। তার এই উদ্যোগকে স্বগত জানিয়ে পাশে এসে দাঁড়ান নাভানা গ্রুপ।

নাভানা গ্রুপ ও প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় মাত্র ২১ দিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম নগরের নিকটবর্তী সীতাকুণ্ডে ফৌজদারহাটস্থ করোনা শনাক্তের পরীক্ষাগার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) কাছাকাছি ফকিরহাট পাক্কার মাথা এলাকায় নাভানা গ্রুপের নির্মিত ভবনে এই ফিল্ড হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। আজ হাসপাতালটিতে করোনা চিকিৎসার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে করে করোনো রোগীদের চিকিৎসা দিতে আরও সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এদিকে ৬ হাজার ৮শ বর্গফুট জায়গা জুঁড়ে নির্মিত এ হাসপাতালে থাকছে ১০ শয্যার আইসিইউ সুবিধাসহ ৫০টি শয্যা। ৫টি ভেন্টিলেটর স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করবেন ১০ সদস্যের চিকিৎসক টিম। সহায়তা করতে রাখা হয়েছে ১শ জনের একটি স্বেছাসেবক টিম। রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। হাসপাতালটি নির্মাণে এক লাখ মানুষের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১০০ টাকা করে সংগ্রহ করা হয়।

গত রোববার সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল ফিল্ড হাসপাতালটি পরিদর্শন করে। দ্রুত সময়ে হাসপাতালটি নির্মিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বৈশ্বিক এ ক্রান্তিকালে মানবিক এই খরার মধ্যে মানবতার ব্রত নিয়ে করোনা রোগীদের জন্য অত্যাধুনিক ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সত্যিই এটি একটি সময়োপযোগী সাহসী পদক্ষেপ। এর সঙ্গে জড়িতদের আমি সাধুবাদ জানাই।’

হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ূয়া বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মানসিক চাপ কমিয়ে স্বস্তি দিতে এ উদ্যোগ। সেবা প্রদানের লক্ষ্যে স্বল্প সময়ে ফিল্ড হাসপাতালটি প্রস্তুত করা হয়েছে। হাসপাতালটি নির্মাণে শিল্প গ্রুপ নাভানা জায়গা ও অবকাঠামো দিয়ে সহায়তা করেছে। আশা করছি, এটির মাধ্যমে এখন থেকে আগের তুলনায় বেশি সংখ্যক নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে। আজ সকাল থেকে বেশ কয়েকজন রোগী এসেছে। তবে তারা বিভিন্ন রোগের উপসর্গ নিয়ে এসেছে। যেহেতু এটি শুধুমাত্র করোনা রোগের চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা। তাই তাদের কাউন্সিলিং করে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন