ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আর্থিক সহায়তা তৃণমূলে পৌঁছাতে না পারলে ধস নামবে শিল্পখাতে

বিভিন্ন নিয়মকানুনের ভীড়ে এবারও রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রণোদনা না পাওয়ার আশঙ্কায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের তৃণমূল পর্যায়ের প্রায় ২৫ লাখ শিল্পী আর কারিগর। বৈশাখসহ বিভিন্ন উৎসব বন্ধ থাকায় আর ওয়ার্ক অর্ডারের অভাবে পরেছে প্রান্তিক শিল্পী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, আর তাদের পরিবার।

সংশ্লিষ্টদের মতে, আর্থিক সহায়তা তৃণমূল পর্যায়ে না পৌঁছালে ধস নামতে পারে দেশের এসব পৌরাণিক শিল্পখাতগুলোয়।

প্রাণহীন হয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে পড়ে আছে অলঙ্কার তৈরির কক্ষটি। অথচ এই মৌসুমে দম ফেলার সময় থাকে না। ভাকুর্তার গয়না গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরের এখন একই অবস্থা। স্বাধীনতা দিবস, বৈশাখের মতো উৎসব আর মধ্যসত্ত্ব ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ থাকায়, গয়না তৈরির সাথে যুক্ত এই গ্রামের ষাট হাজার মানুষ এখন বেকার সময় পার করছে।

এ বিষয়ে কারিগররা জানান, আগের পহেলা বৈশাখগুলোতে দিনরাত কাজ করতাম। এবার তো বসেই দিন পার করছি। ২০-২৫ দিন ধরে কোনো কাজ নাই। যেটুকু সঞ্চয় ছিল তাও শেষের পথে।

অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. নাজনীন আহমেদ জানান, করোনার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন। এই প্রণোদনা প্যাকেজটা আসলে পর্যাপ্ত নয়। এটা যেমন সত্য তেমনি এও সত্য যে সরকার তার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই যে কোনো অর্থিক মাপকাঠির পরিকল্পনার শুরুতেই জোর দিতে হবে তৃণমূলের উন্নয়নের দিকে।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন