শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের কবর খোঁড়ার চেষ্টা, জুতা-লাঠি হাতে বিক্ষোভ

বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদের মরদেহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় দাফন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, জুতা-লাঠি হাতে বিক্ষোভের পাশাপাশি তারা চেষ্টা করেছেন কবর খোঁড়ার।

আজ রবিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলাধীন শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে খুনি মাজেদের নিকটাত্মীয়দের উপস্থিতিতে মরদেহ দাফন করা হয়।

শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটের মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি ভোলায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোলার জনগণ ও রাজনৈতিক নেতাদের চাপের কারণে সোনারগাঁ নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে রবিবার ভোরে অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যে মাজেদের শ্বশুরবাড়ি সোনারগাঁর শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

খুনি মাজেদের চাচাশ্বশুর আলী আক্কাস ও শ্যালক শহিদুজ্জামানসহ নিকটাত্মীয়রা উপস্থিতিতে তাকে কবর দেয়া হয়। সকালে হতে না হতে ঘটনা জানাজানি হলে এ নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ দেখা দেয়।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের লোকজন খুনি মাজেদের মরদেহ সোনারগাঁ থেকে তুলে অন্যত্র দাফনের কঠোর দাবি জানান।

এদিকে মরদেহ দাফনের খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং জুতা হাতে তীব্র প্রতিবাদ জানান। এক পর্যায়ে তারা খুনি মাজেদের কবর খুঁড়তে শুরু করলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা থেকে বিরত থাকেন।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম জানান, সবার অজ্ঞাতসারে সোনারগাঁয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এজন্য সোনারগাঁ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি। মাজেদের পৈত্রিক বাড়ি ভোলায় দাফন না করে সোনারগাঁয় করায় আমরা ক্ষুব্ধ। এতে সোনারগাঁ বাসীকে কলঙ্কিত করা হয়েছে বলে মনে করি।

আরও পড়ুনঃ  নাব্যতা ফেরাতে কবে খনন

এছড়াও ওসমান গনি ও মুক্তিযোদ্ধা জামান মোল্লা জানান, সোনারগাঁর পবিত্র ভূমিতে খুনি মাজেদের মরদেহ কিছুতেই রাখতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রশাসন যদি এগিয়ে না আসে তাহলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতাদের নিয়ে কবর থেকে মরদেহ তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন