ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা: পাহাড়ে মৌসুমি ফলচাষীদের কান্না

করোনার কারণে ক্রেতা ও পাইকা সংকটের ফলে বিপাকে পড়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলার মৌসুমি ফলচাষীরা। ভালো ফলন হওয়া সত্ত্বেও বাজারে দাম না থাকায় সেই ফল এখন কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থানীয় বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসছেন না। অন্যদিকে স্থানীয় ক্রেতারা ঘরবন্দি থাকায় বেচাকেনায় নাই।

ফলচাষীরা জানান, এবার রাঙ্গামাটিতে আগাম আনারসের ফলন ভালো হয়েছে। তবে বাজারে পাইকার না থাকায় দাম অনেক কম। অন্যদিকে তরমুজের ফলনও ভালো হয়েছে। তবে পচনশীল এ ফলটির ক্রেতা না থাকায় ক্ষেতে পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,  এবছর বছর রাঙ্গামাটতে তুলনামূলকভাবে প্রচুর মৌসুমি ফলের চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ১২৫ হেক্টরে আনারস ও ২৩০ হেক্টরে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। তবে করোনার কারণে যদি চাষীরা ফল বিক্রি করতে না পারেন, তাহলে ভালো ফলন হওয়া সত্ত্বেও লোকসানের মুখ দেখ তে হবে চাষীদের।

জেলা শহরের সমতাঘাটে স্থানীয় বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকাবোঝাই করে হাটে আনারস এনেছেন চাষীরা। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতা না থাকায় অলস সময় পার করছে তাঁর।

রাঙ্গামাটি জেলা সদরের বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের আনারস বাগানের মালিক নীতিময় চাকমা বলেন, আমি প্রায় তিন হাজার পিস আনারস বাজারে বিক্রির জন্য এনেছি। কিন্তু দাম নাই বলেই চলে। দুই সপ্তাহ আগে যে  আনারসের জোড়া ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছে তা এখন ১০-১৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এম পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমাদের মাঠে মরতে হবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন