ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিম্ন মানের ভারতীয় পাট বীজে সয়লাব ভূরুঙ্গামারীর বাজার

ভূরুঙ্গামারীর হাট বাজারগুলো অবৈধভাবে আসা ভারতীয় নিম্নমানের পাটবীজে সয়লাব। ভূরুঙ্গামারীতে বিএডিসির অনুমোদিত ১৬জন বীজ ডিলার থাকলেও কোনো ডিলারের দোকানে দেশীয় পাট বীজ না থাকায় কৃষকরা বাধ্য হয়েই ভারতীয় এসব নিম্নমানের পাটবীজ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন সহজেই।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২শত ৯০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছর ছিল ২হাজার ৯০ হেক্টর ।

চলতি পাট মৌসুমের শুরুতেই উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারীদের সহযোগিতায় অবৈধ পথে ভারত থেকে এসব নিম্নমানের পাটবীজ ভূরুঙ্গামারীতে ঢুকছে। উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজারে ভারতীয় পাট বীজ বিক্রি হচ্ছে অবাধে।

সীমান্তের একাধিক সুত্রে জানা গেছে, দুই দেশের সীমান্তবর্তী চোরাকারবারীরা রাতের আধাঁরে আনছে ভারতীয় পাটবীজ। পাট বীজগুলো ভারতের বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে প্যাকেটজাত করে তা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দিচ্ছে। নিম্নমানের এসব পাটবীজের প্যাকেটের গায়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, দিনহাটা, আসামের ধুবরী জেলার বিভিন্ন

কোম্পানিরসূর্যমার্কা, নিউচাকামার্কা, রাজামার্কা, শংখমার্কা, বঙ্গমাতা, এনএসসি, প্রদীপমার্কা, মহারাষ্ট্রমার্কা, রানীমার্কা, বাঘমার্কা, পানপাতামার্কা ট্রাক্টরমার্কা সহ নানা ধরনের মোড়কে ভারতীয় পাট বীজে সয়লাব উপজেলার হাট বাজার।এইসব পাটবীজের প্রতি কেজির প্যাকেট ২০০থেকে ২৫০টাকা দরে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।

বিএডিসির অনুমোদিত বীজ ডিলার মেসার্স আঃ গফুর বলেন ভারতীয় পাটবীজে বাজার ভরে যাওয়ায় কৃষকদের কাছে দেশি পাটবীজের চাহিদা বাজারে নেই বললেই চলে, তাই আমরা বিএডিসি’র বীজ তুলিনা।

উপজেলার পশ্চিম ছাট গোপাল পুর গ্রামের কৃষক আঃ সাত্তার, নলেয়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম ও বাগভান্ডার গ্রামের কৃষক আমির আলী জানান, এখন পুরোদমে কৃষকরা পাট বীজ জমিতে বোপন করছে। এই ভরা মৌসুমে বিএডিসির বীজের দেখা মিলছে না। বিএডিসির পাট বীজ সংকটের কারণে আমরা বাধ্য হয়ে ভারতীয় পাটবীজ জমিতে বোপন করছি ।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের পাটবীজ রবি-১এর ফলন আশাব্যাঞ্জক। আমরা এই পাটবীজটি চাষ করতে উৎসাহিত করছি। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে ভারতীয় পাটবীজ কিনে প্রতারিত না হওয়ার পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছি।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন