পাইকগাছাসহ উপকুল এলাকায় মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে হতদরিদ্র মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে। ভাইরাস সংক্রমনের ভয়ে এসব লোক বেকার অবস্থায় সময় পার করছে। তবে হতদরিদ্র, শ্রমিক ও নিন্মবিত্ত মানুষরা কমবেশি সরকারি সহায়তা পাচ্ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন নিন্মবিত্ত মানুষের পাশে সহায়তা নিয়ে দাড়িয়েছে।
তবে চরম অসুবিধার মধ্য থাকলেও মাধ্যবিত্তরা কাউকে কিছু বলতে পারছে না। এদের অনেকের ঘরে খাবার নেই, গচ্ছিত টাকা নেই, ইতিমধ্যে ঘরের সঞ্চিত খাবারও শেষ হয় গেছে। এসব মানুষের দিন কাটছে অর্ধাহারে- অনাহারে। তারা মুখফুটে কিছু বলতে পারছে না। যেমনটা পেটে ক্ষুধা চোখে লজ্জা।
পাইকগাছার এক কসমেটিক ব্যবসায়ী জানান, ব্যবসা বন্ধ থাকায় দুই হাজার টাকা দোকান ভাড়া ও আড়াই হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে পারেনি। তাছাড়া সঞ্চিত কোন অর্থ না থাকায় সামনের দিনগুলে কি ভাবে পার করবো সে ভাবনায় দিন পার করছি।
পাইকগাছা বাজারে হার্ডওয়্যারী ব্যবসায়ী বলেন, নিম্নবিত্তের লোকজন তো সরকারি ত্রাণ পাচ্ছে, বেসরকারি সহায়তা পাচ্ছে, কিন্তু মধ্যবিত্তের কী হবে? তার ঘরে খাবার শেষ হয়ে আসছে। তারা এখন অল্প অল্প করে খাচ্ছেন। মধ্যবিত্তদের দুর্দশার কথা কেউ কেউ ফেসবুকেও তুলে ধরছেন। একজন লিখেছেন, সবাই আমরা ব্যস্ত নিম্ন আয়ের মানুষদের নিয়ে। মধ্যবিত্তদের খবর কেউ নেয়না। খবর নিয়েন, মধ্যবিত্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে বাজার সদাই আছে নাকি মুখ চেপে না খেয়ে দিন পার করছে।
পাইকগাছা এলাকায় লবণ পানির চিংড়ি চাষের উপর প্রায় ৮০% মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত। এখন মৌসুমের শুরুতে ঘেরে অধিকাংশ ঘের মালিক চিংড়ি পোনার অতিরুক্ত দাম ও সংকটের কারনে পোনা ছড়তে পারেনি। ঘের প্রস্তুত করে বসে আছে চিংড়ি চাষিরা। তার উপর করোনা আতঙ্ক! পুঁজি হারিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের। তাদের মত এমন অসহায় মধ্যবিত্তদের চাপা কান্না শুনবে কে?
আনন্দবাজার/শাহী