ঢাকা | শুক্রবার
৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্য ঝুকিতে ইটভাটার শ্রমিক, নেই স্বাস্থ্য সচেতনতা

দেশের ৭০%মানুষের দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস, তাদের অধিকাংশ কল কারখানা সহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত। ঠিক এদের মাঝে ৩০% শ্রমিক কাজ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে। জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে নিয়োজিত এ সকল শ্রমিক পাচ্ছেনা তাদের রাষ্ট্রীয় মৌলিক অধিকার সমূহ।

চলমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে কোভিড-১৯ ভাইরাসে নিমজ্জিত সাড়াবিশ্ব, ঠিক এমন মহামারী আকার ধারন করা এই মরনঘাতী ভাইরাসের প্রভাব পরেছে বাংলাদেশেও। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ যখন লক ডাউনের অন্তর্ভুক্ত, সেখানে দেশের বিভিন্ন ইটভাটা ঘুরে দেখা মেলে তার ভিন্ন চিত্র।
সাভার, আশুলিয়া,ধামরাইয়ের বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা জানেই না করোনা ভাইরাস কি? বুঝেনা সামাজিক দুরুত্ব কাকে বলে?

একই অবস্থানে নিয়োজিত ভাটা শ্রমিকদের বাসস্থানে নেই কোন বিশেষ সুযোগ সুবিধা। এর ফলে শতভাগ ভাইরাস সংক্রামনের ঝুকি রয়েই যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে একই শয়ন কক্ষে ২০/৩০ শ্রমিকের বসবাস, নেই কোন প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট। সচরাচর অবাধ ঘোরাফেরায় করোনাভাইরাস এর বিস্তারের প্রভাব রয়েই যাচ্ছে এ সকল সেক্টর থেকে।

শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মালিক পক্ষের অসচেতনার ফলেই এমন সাস্থ্যঝুকি বেড়েই চলছে। সরকারী সঠিক নির্দেশনা না থাকায় ইটভাটা মালিকগন তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখছেনা বলেও জানান কিছু কিছু ভাটা পরিচালনাধীন মালিকগন।

দেশের সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অচিরেই এ সকল ঝুঁকিপূর্ণ ইটভাটা বন্ধ করার আহ্বান জানান সচেতন মহল।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন