চীনের পর করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলোতে। বাদ যায়নি দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকাও। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) বলছে, আগামী দিনগুলোয় ইউরোপে করোনাভাইরাস রোগের বিস্তার স্থির থাকলেও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে তা দ্রুত ছড়াতে পারে। বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর ঝুঁকি বেশি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ডব্লিউএইচওর গাইডলাইনে শুরু থেকেই দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে—টেস্ট বা পরীক্ষা করা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। তবে ইউরোপের দেশগুলো সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে কিছুটা সময় নিয়েছিল। এর মাশুল দিতে হচ্ছে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, ব্রিটেনকে। প্রতিদিনই ইউরোপ, আমেরিকায় বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক এলাকায় এখনো সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি উপেক্ষিত।
ভারতের উদাহরণ টেনে সংস্থাটির হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান মাইক রায়ান বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র হওয়ায় ভারতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা কঠিন। ২১ দিনের লকডাউনের মধ্যেও দেশটির অসংখ্য শ্রমিক নিজ নিজ বাড়িতে ফিরছেন। দারিদ্র্যের কারণে মানুষকে কোনোভাবেই ঘরে আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত রয়ে যেতে পারে। আর এ প্রবণতা কভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) রোগের পরবর্তী কেন্দ্রস্থল হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি