প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দুনিয়াজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে আর আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজারেরও উপরে। দু’দিন যাবত স্পেনে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হলেও ফের ইতালিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে মারা গেছেন ৮৩৭ জন আর স্পেনে ৭৪৮ জন। এই নিয়ে দু’দেশে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ১২৪২৮ ও ৮৪৬৪ জন আর মোট আক্রান্ত ১০৫৭৯২ এবং ৮৪৬৪ জন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্ত রোগী সংখ্যা। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছুঁই ছুঁই।যুক্তরাষ্ট্রে গেল ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেছে ৭১৯ জনের আর আক্রান্ত হয়েছে ২৩৫৫৯ জন। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩৮৬০।
করোনার সর্বশেষ পরিসংখ্যানঃ https://www.worldometers.info/coronavirus/
পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটির স্থানীয় প্রশাসনকে। এদিন নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, করোনা মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য আগামী দুই সপ্তাহ অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে। আমি চাই এর জন্য সবাই প্রস্তুত থাকুক।
করোনায় নাজেহাল ইতালিতে লকডাউনের সময় এপ্রিলের ১২ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।। এই অবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে চার বিলিয়নের বেশি আর্থিক প্রাণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে, আগামী দুই সপ্তাহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছাড়া বাকি সবাইকে বাধ্যতামূলক ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
অন্যদিকে করোনার হানায় সপ্তাহখানেকের মধ্যেই যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ফ্রান্স। মঙ্গলবার ৪৯৯ মৃত্যুর রেকর্ড গড়ে ভয়ঙ্কর একটি দিন পার করেছে তারা।দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫২৩ জন আর আক্রান্ত হয়েছে ৫২ হাজার এর উপরে। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে টানা তিন সপ্তাহ লকডাউন চলছে ইউরোপের দেশটিতে।
অবনতির দিকে যাচ্ছে জার্মানির করোনা পরিস্থিতিও। জার্মানিতে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেছে ১৩০ জনের আর আক্রান্ত হয়েছে ৪৯২৩ জন।
ইরান ও যুক্তরাজ্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই দুই দেশে যথাক্রমে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেছে ১৪১ আর ৩৮১ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ২৮৯৮ ও ১৭৮৯ জন।
বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডও ক্রমাগত করোনার ছোবলে নীল হয়ে উঠছে। বেলজিয়ামে গেল ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেছে ১৯২ জনের আর নেদারল্যান্ডে ১৭৫ জনের।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আজ থেকে মস্কোতে সবার জন্য বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিন কার্যকর করছে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ।
আর এই ভাইরাসে বলিভিয়া, উরুগুয়ে ও সিরিয়ায় ঘটেছে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। তবে হু হু করে আক্রান্ত বাড়ছে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলে। তবে করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে গেল ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কারো মৃত বা সনাক্তের খব পাওয়া যায়নি।
আনন্দবাজার/শহক