রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়মিত অফিস করছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনাম

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে সচিবালয়ে অফিস করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। প্রয়োজনীয় ত্রাণ বরাদ্দসহ জরুরি কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং একজন অতিরিক্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ১২ জন কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন।

সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের অফিস আদালতে ১০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে। এসময়ে শহর ও গ্রামে অনেকে কর্মহীন অবস্থায় আছেন। কর্মহীন হয়ে খাদ্য সমস্যায় আছেন যারা তাদের সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিক্ষুক, দিনমজুর, রিক্সাচালকসহ সংকটে পড়া মানুষদের তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য সহায়তা প্রদানে কাজ চলছে। এসব কাজ তদারকি করছেন প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ’প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে ৬৪ জেলায় দারিদ্রতা, জনসংখ্যা ও স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। সোমবার ৮ হাজার ৪৫০ টন চাল ও ২ কোটি ৩৫ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও দুই দফায় বরাদ্দ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৪০ লাখ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধের মাধ্যমে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপিরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ত্রাণ বরাদ্দের অনুরোধ জানাচ্ছেন এবং সে অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশের ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, নিয়মিত বরাদ্দ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য ছুটির মধ্যে আগামী ৫দিনও নিয়মিত অফিস করবো।’

আরও পড়ুনঃ  বিদ্যালয়ের সেই রাস্তা দখলমুক্ত

ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ত্রাণ বিতরণের জন্য দিনমজুর ও কর্মহীন মানুষের তালিকা তৈরির পাশাপাশি সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড ভিত্তিক, কৃষি শ্রমিকসহ উপকারভোগীদের তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে বিত্তশালী ব্যক্তি/ সংগঠন/এনজিও কোন খাদ্য সহায়তা প্রদান করলে জেলা প্রশাসকগণ প্রস্তুতকৃত তালিকার সঙ্গে সমন্বয় করবেন; যাতে দ্বৈততা পরিহার করা যায় এবং কোন উপকারভোগী বাদ না পড়ে।আলোচিত রানা প্লাজা ধ্বসের সময় আহত শ্রমিকদের জরুরি চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য সহায়তা দিয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন এনাম মেডিকেলের কর্ণধার ডা. এনামুর রহমান। এরপর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রী তাকে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন।

 

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন