ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনশূণ্য আত্রাইয়ের হাট বাজার

নোভেল করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাস মোকাবেলায় সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ হয়ে গেছে আহসানগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে চলাচল করা সব ধরনের ট্রেন। সেইসাথে উপজেলার সব খাবার হোটেল, রেস্তোরা, চায়ের দোকান, ছোট-বড় অনেক যানবাহন এবং বন্ধ রাখা হয়েছে হাট ও এনজিওর কিস্তি আদায়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে তেমন বের হচ্ছে না। উপজেলা সদর নওদুলী, বান্দাইখাড়া , ব্রজপুর, মির্জাপুর, সমসপাড়া বাজার, আহসানগঞ্জ স্টেশনসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা যায় মুদি, কাঁচা বাজার, ফলের দোকান ও ফার্মেসি/ওষুধের দোকান ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কোথাও নেই কোনো গণজমায়েত।

এ ছাড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে গত ২৩ মার্চ জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত এক জরুরী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সে মোতাবেক উপজেলা প্রশাসন প্রতিনিয়ত এসব মেনে চলতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে গুজব ছড়িছে পড়ছে ‘ফ্রিজে মাছ ও মাংস রাখা যাবে না, যদি কেউ রাখে পুলিশ এসে ফ্রিজ ভেঙে ফেলবে’। এমন অবস্থায় অনেকে ফ্রিজের মাছ-মাংস বের করে অন্যত্র সরিয়ে রাখছেন। আবার কেউ আতঙ্কে একাধিকবার ফ্রিজ ধুয়ে মুছে পরিষ্কারও করে ফাঁকা করে রাখছেন। আর এসবের কারণ হিসেবে তারা বলছেন ফ্রিজ থেকে নাকি করোনা ছড়িয়ে পড়ছে।

আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিন বলেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষের গণজামায়েত এরাতে প্রতিনিয়ত পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে। এমনিতেই সাধারণ মানুষ করোনা নিয়ে আতঙ্কে আছে। এর ওপর নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে এসব মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকসানা হ্যাপি জানান, বর্তমান বিশ্বে নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি আকার ধারন করেছে। আমরাও তার বাহিরে নই। তাই আমরা যদি পূর্ব থেকে এই ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক ও সচেতন হই তাহলে আমাদের দেশে করোনার আক্রমণ তেমন প্রকট হবে না। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে বিদেশ ফেরত আরো ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় এবং ১৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত বিদেশফেরত ১৬২ জন নারী ও পুরুষকে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে পর্যবেক্ষণে রাখার পর ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ায় ৬৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৯৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.ছানাউল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে কোন আতঙ্ক নয়, হতে হবে সচেতন, কি কি বিষয় অনুসরন করলে ও মানলে করোনা থেকে মুক্ত থাকা যাবে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এই বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করার জন্য বলা হয়েছে। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার/এফআইবি

 

সংবাদটি শেয়ার করুন