দেশে করোনা বিস্তার রোধে সরকার সব ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। জনগনকে ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য বারবার সচেতন করছে। ইতোমধ্যেই করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কয়েকটা উপজেলা লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এদিকে গ্রামের লোকজন করোনাভাইরাস নিয়ে একদমই সচেতন নয়। তাই জনগনের কথা চিন্তা করে, পটিয়া উপজেলার অন্তর্গত হাইদগাঁও গ্রামের কিছু সচেতন শিক্ষার্থী একত্র হয়ে জনগনের মাঝে করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ শুরু করে।
তারা নিজ নিজ পাড়ার যুবকদের সহায়তাই ফান্ড গঠন করে। তারপর নিজ পাড়ার উদ্যোগেই জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু করে। প্রথমত তারা প্রতিটা বাড়িতে গিয়ে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ এবং প্রতিরোধে কি কি করণীয় তা হ্যান্ড মাইকিং এর মাধ্যমে বলে এবং সরকারের নির্দেশমতো লোকজনকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করে। এরপর ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে পুরো এলাকায় এবং প্রত্যেকটা ঘরে স্প্রে করে। এছাড়াও প্রতিটা ঘরে ঘরে তাদের নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি হ্যান্ড সেনিটাইজার এবং সাবান বিতরণ করে।
এই বিষয়ে আরো জানতে চাইলে হাইদগাঁও গ্রামের সন্তান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী জয় চৌধুরী বলেন, আমি আসলে বাড়িতে আসার পর দেখি এলাকার লোকজন করোনা ভাইরাস নিয়ে একদমই সচেতন না। এমনকি বিশ্বে এবং দেশে কি হচ্ছে তা নিয়েও সবাই তেমন জানেনা। বিভিন্ন গুজবের কারনে অনেকেই আতঙ্কের মধ্যে আছে। তাই আমি এলাকার যুবক ভাইদের সাথে এলাকার লোকদের সচেতন করার উদ্যোগ নিই। তারপর আমরা প্রতিটা পাড়ায় টিম তৈরি করে তরুনদেরকে সাথে নিয়ে কাজ শুরু করি। এলাকার লোকজন এখন অনেক সচেতন। এলাকার যুবকদের ভাইদের ছাড়া এই কাজ করা সম্ভব ছিলনা। আমাদের এলাকা এখনো পর্যন্ত নিরাপদ আছে।
জয় আরও জানান, অন্যান্য এলাকার তরুণদেরকেও নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি। আপনারা আপনাদের এলাকায় এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন। জনগনের মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলুন। লোকজনকে ঘরে থাকতে বলুন। নিজে সচেতন থাকুন, অন্যদেরও সচেতন করুন।
আনন্দবাজার/শাহী