প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি ডেলিভারিতে ধীরগতি এবং যানজটের কবলে পড়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ও কন্টেইনারের মারাত্মক জট সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। কন্টেইনার রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় জাহাজগুলোকে পণ্য খালাসে ৮ দিনের বেশি বন্দরে অবস্থান করতে হচ্ছে। বন্দরে বর্তমানে ১১২টি পণ্যবাহী জাহাজ রয়েছে। আর কন্টেইনার রয়েছে ৪২ হাজারের বেশি।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, সপ্তাহখানেক বৃষ্টি হওয়ায় আমদানির ডেলিভারি বন্ধ ছিল। এজন্য জাহাজগুলো সময় মতো খালাস করতে পারেনি। এজন্য কন্টেইনার রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। সেজন্য জাহাজ জটের সঙ্গে কন্টেইনার জট যোগ হচ্ছে।
চট্টগাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে সাড়ে আট হাজার কন্টেইনার ওঠানামা করে। সে সাথে ডেলিভারি হয় চার হাজারের বেশি কন্টেইনার। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা জটিলতায় ডেলিভারি প্রক্রিয়ায় ধীরগতি নেমে আসে তাতেই সৃষ্টি হচ্ছে জটের।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, আমাদের জেটির অভ্যন্তরে কন্টেইনার জাহাজ ও বাল্ক জাহাজের ডেলিভারি স্লো ছিল। এছাড়া যেসব মালামাল ভিজলে নষ্ট হতে পারে সেসব নিতে আমদানিকারকরা অনিচ্ছুক ছিলেন।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয় এ বন্দর দিয়ে। মাদার ভ্যাসেলগুলো ৭২ ঘন্টার বেশি বন্দরে অবস্থান করলে ১০ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা গুণতে হয়। বন্দরের এ ধীরগতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।