সারাবিশ্বজুড়েই আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে প্রাণঘাতী করোনভাইরাস। এর ফলে প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে অনেক মানুষের। টেলিভিশন/প্রত্রিকার পাতা খুললেই শিরোনামে থাকে এর ভয়াবহতার ছবি। সকল ভয়াবহ সময়ের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে কয়েকটি সংবাদে আশার আলো দেখা যাচ্ছে এবং এই আশা করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে এ রকম ২৩টি সুসংবাদ দেয়া হলো-
১. সম্প্রতি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন চীনা ধনকুবের ও অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা।
২. চীনে কোভিড-১৯ থেকে আক্রান্ত প্রায় ৮০,০০০ লোকের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং তাদের হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাওয়ার পারমিশন দেওয়া হয়েছে।
৩. এরই মধ্যে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন কীভাবে করোনভাইরাসটি মানুষের কোষে বিভক্ত হয়, যা চিকিৎসা বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করবে।
৪. কোয়ারান্টাইনের সচেতনতা বাড়ার কারণে কোডোগনো, ইতালির দুটি করোনাভাইরাস ক্লাস্টারের মধ্যে একটি, প্রতিদিন উল্লেখযোগ্যভাবে কম সংক্রমণের রিপোর্ট করেছে।
৫.করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কানাডার বিজ্ঞানীরা একটি ভ্যাকসিন তৈরির প্রয়াসে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন।
৬. চীন আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে বলে দাবি করে পাঁচটি ভিন্ন ভ্যাকসিনের বিকল্প পরীক্ষা করছে।
৭. ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনারোধী প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করেছে।
৮. সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল উহানের করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মৃত্যুর হার প্রায় ১.৪ শতাংশ বলে গণনা করেছেন, এটি পূর্বের অনুমানের তুলনায় অনেক কম।
৯. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্টিলারিগুলি তাদের নিজেদের স্যানিটাইজার তৈরি করছে এবং তা বিনামূল্যে বিতড়ন করছে।
১০. বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘরে থাকায় শহরগুলোতে বায়ু দূষণ হ্রাস পেয়েছে, ভেনিসের পানি পরিষ্কার হয়েছে।
১১. জনস হপকিন্সের এক গবেষক দাবি করেছেন যে সুস্থ হয়ে যাওয়া করোনভাইরাস রোগীদের অ্যান্টিবডিগুলি ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে।
১২. দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমিত হওয়ার তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা।
১৩. চীনে স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা ফিরে আসছে। পার্ক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলছে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়েছে।
১৪. চীন তাদের নির্মিত সর্বশেষ করোনাভাইরাস হাসপাতালও বন্ধ করে দিয়েছে, কারণ সেখানে রাখার মতো পর্যাপ্ত নতুন রোগী নেই।
১৫. অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা ভাইরাসের নিরাময়ের জন্য দুটি ওষুধ পরীক্ষা চালাচ্ছেন।
১৬. সংকট সমাধানের লক্ষ্যে অসংখ্য ব্যবসায়ী-প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে।
১৭. অ্যাপল, স্টারবাকস চীনের সমস্ত স্টোরগুলো পুনরায় চালু করছে।
১৮. মেট্রোহেলথমেডিক্যাল সেন্টার একটি করোনভাইরাস পরীক্ষা কিট তৈরি করেছে যা কয়েক দিনের মধ্যে নয়, ঘন্টার মধ্যে ফলাফল দেয়।
১৯. ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একটি করোনভাইরাস ভ্যাকসিন প্রকাশের আভাস দিয়েছেন।
২০. সান দিয়েগো বায়োটেক সংস্থা ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় একটি করোনভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে।
২১. জাপানি ফ্লু ড্রাগটি করোনভাইরাস চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
২২. চীন টানা দুই দিনে মাত্র একটি নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর জানিয়েছে।
২৩. বিশ্বসম্প্রদায়গুলো তাদের প্রতিবেশীদের সহায়তা করার জন্য একত্রিত হয়ে আগাচ্ছে।
সূত্র : বিউমন্ট এন্টারপ্রাইজ।
আনন্দবাজার/শাহী
