বঙ্গবন্ধু একটি নাম, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যার ভূমিকা অপরিসীম। তার আগমন ঘটেছিল স্বরূপকাঠী উপজেলার সোহাগদল গ্রামে। ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের সময়ে একটি উপ নির্বাচনের প্রচারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলায় একটানা ১৫ দিন অবস্থান করেছিলেন।
এই তথ্য জানান ওই সময়কার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর ভাই স্বরূপকাঠী উপজেলার সোহাগদল গ্রামের শতবর্ষী আবদুর রহমান।
স্মৃতিচারণে শতবর্ষী আবদুর রহমান বলেন, ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক গভর্নর হলে তার আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে উপ-নির্বাচনে পিরোজপুর মহকুমা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তার ভাই জয়নুল আবেদীন মোক্তার আওয়ামীলীগের প্রার্থী হন।
এই নির্বাচনী প্রচারনায় মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে স্বরূপকাঠীতে আসেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনী প্রচারণার সোহাগদলের আব্দুর রব তালুকদারের ঘরে একটানা ১৫ দিন থেকে, স্বরূপকাঠী-বানারীপাড়া-কাউখালী থানায় অসংখ্য নির্বাচনী জনসভা ও কর্মী সভায় ভাষণ দেন।
১৯৭১ সালের ৭ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী রাজাকারদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত আব্দুর রব তালুকদারের ওই ঘরটিসহ অন্যান্য ঘর পুড়িয়ে ভস্মীভূত করে দেয়। স্বাধীনতার পরে অন্যান্য ঘরগুলো পুনর্নিমাণ করা হলেও দীর্ঘকাল ধরে ঐতিহাসিক ওই ঘর শূন্য ছিল।
প্রয়াত আব্দুর রব তালুকদারের আমেরিকা প্রবাসী স্ত্রী ও পুত্ররা বঙ্গবন্ধুর অমর স্মৃতিধন্য ওই শূন্য ভিটায় একটি পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু সে কাজটি বর্তমানে অসম্পূর্ণই রয়ে গেছে। এতে বঙ্গবন্ধুর সেই স্মৃতিও আজ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বঙ্গবন্ধু প্রেমীদের প্রাণের দাবি সরকার যেন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণ করে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এম আর