ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে একদিনে ১৫৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

ঝিনাইদহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নতুন করে বিদেশফেরতসহ ১৫৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রবিবার (১৫ মার্চ) জেলার বিভিন্ন উপজেলা পরিদর্শন শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়।

এদিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা ১৫৯ জনের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় একজন, মহেশপুরে ১৫০ জন ও কোটচাঁদপুর উপজেলাতে আটজন রয়েছেন। এর কিছুদিন আগে সদর উপজেলাতে পাঁচজন, কালীগঞ্জে একই পরিবারের ১২ জন এবং মহেশপুর উপজেলাতে পাঁচজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এবার ইতালি, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারত মিলিয়ে ৩৬ জন বিদেশফেরতসহ মোট ১৮১ জনকে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এরই মধ্যে সারা বাংলাদেশের ন্যায় জেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা না মানা এবং তাদের সঠিক তদারকির অভাবে এ শঙ্কা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইতোমধ্যে বিদেশফেরত নাগরিকরা বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বারেও গেছেন। ইতালিফেরত এক নারী জানান, “ইতালি ও দুবাই বিমানবন্দর থেকে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিমানবন্দরে তেমন কোনো ধরণের পরীক্ষা না করেই শুধু একটা কাগজে সই নিয়ে বলেছে জ্বর বা অন্য কিছু হলে আমাদের ফোন করে জানাবেন, এতেই সব শেষ। কিন্তু তারাতো আমাদের কোনো নির্দেশনা দিলো না। তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগ কেন আমাদের নিয়ে এমন টালবাহানা করছে? যাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই; এরা কী করে আমাদের করোনা শনাক্ত করবে?”

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, বিদেশফেরত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ পর্যন্ত ১৮১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জেলায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। যেহেতু শরীরে করোনার জীবাণু ১৪ দিনের ভেতরে প্রকাশ পায় তাই ১৪ দিনের আগে তাদের বিষয়ে কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন